আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং দ্রুততম সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে ফেব্রুয়ারিতে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে ঢাকাসহ সারা দেশে দুই ধাপে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করেছে দলটি। শিগগিরই কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে কর্মসূচির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হবে। সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আরও জানা গেছে, বৈঠকে নেতারা বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই। বিগত দেড় দশকে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে। জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তিনটি সংসদ নির্বাচনে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি। এখন সংস্কারের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য যত দ্রুত সম্ভব সরকার ও জনগণকে নির্বাচনমুখী করা। নির্বাচনের জন্য সরকারকে চাপে রাখতে হবে।
এছাড়া প্রতিবছর রমজানকে কেন্দ্র করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। এতে জনগণ দিশেহারা হয়ে পড়েন। মার্চের শুরুতেই রমজান শুরু, দ্রব্যমূল্য নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে-এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে ফেব্রুয়ারিতেই কর্মসূচি পালন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ফেরত আনতেই বিএনপি আবার মাঠে নামছে। বিএনপি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে রাজনীতি করে। তাদের ভোটাধিকার আদায়সহ সুষ্ঠু নির্বাচন ও রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিএনপি কর্মসূচি পালন করবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কর্মসূচি চূড়ান্ত করবেন কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতারা। মূলত রমজান শুরুর আগেই এই কর্মসূচি পালিত হবে। রমজান শেষ হলে পরিস্থিতির আলোকে তখন নতুন কর্মসূচিও আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে নির্বাচনমুখী প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে একটি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। এমনকি চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন করা সম্ভব বলেও মনে করছেন দলটির শীর্ষ নীতিনির্ধারকরা।
প্রসঙ্গত, সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে যে কোনো সময় নির্বাচন হতে পারে। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলো বেশি সংস্কার না চাইলে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। আর যদি রাজনৈতিক দলগুলো বা অংশীজনরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আরও বেশি সংস্কার চায় তাহলে এটা আরও ছয় মাস লাগতে পারে। তবে বিএনপির নীতিনির্ধারকদের অভিমত- আগামী বছরের জুন পর্যন্ত নির্বাচনের জন্য ‘খুবই অতিরিক্ত সময়’। ন্যূনতম সংস্কার করে জুলাই-আগস্টেই একটি অবাধ-সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। যদি সেটি সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন করা যেতে পারে।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর