সরকার দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছে এবং সকল নাগরিককে কথা বলার স্বাধীনতা দিয়েছে। তবে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জবাসী এখন দেখছেন উল্টো চিত্র। ন্যায় বিচার পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে আক্ষেপের সুরে এই কথা বললেন জাপান-বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান।
আজ ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, জাতীয় প্রেস ক্লাব ঢাকার জহুর হোসেন চৌধুরী হলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ইতিহাস সৃষ্টি করা গতকালের ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সেলিম প্রধান। তিনি অত্যন্ত বিনয় এবং আবেগের সুরে বলেন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্ববিরোধের জেরে জাপান-বাংলাদেশ গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধানের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ভুলতা সাউঘাট এলাকায় সেলিম প্রধানের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সেলিম প্রধান বলেন, বিএনপি নেতা দিপু ভূঁইয়ার (মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু) নির্দেশে একদল সন্ত্রাসী তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। এছাড়া ৫০টি মোটরসাইকেল ও গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে এবং লুটপাট করেছে। তিনি আরও বলেন, তিনি গতকাল কোনো একটি মাধ্যম থেকে জানতে পেরেছেন যে, বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপুর ছত্রছায়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। উক্ত ঘটনার রেশ এখনো শেষ হয়নি। তিনি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তিনি বলেন, গত আওয়ামী লীগ আমলে সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর লোকজন তার বাড়িতে হামলা ও গুলি করেছে। গতকাল তার এলাকার লোকজন মানববন্ধন করার পর আজ আবার তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে গাজীর ঘনিষ্ঠ লোক দিপু ভূঁইয়া। দিপু ভূঁইয়া বিএনপি করলেও গাজীর হয়ে এখন রূপগঞ্জে কাজ করছে এবং গাজীর সব সেক্টর সে নিয়ন্ত্রণ করছে।
নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলেন, রূপগঞ্জে বিসমিল্লাহ আড়তের ভাড়ার চুক্তি নিয়ে বিগত আওয়ামী লীগের আমলে সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর কর্মী মজিবর রহমান ও সেলিম প্রধানের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। বিএনপির (কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য) নির্দেশে ছাত্রদল নেতা ও শুটার রাসেলকে দিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ কারণে তিনি পুলিশ প্রশাসনকে আগে থেকেই জানিয়ে রেখেছিলেন। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি এবং তিনি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
জেবি গ্রুপের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান বলেন, কথা বলার স্বাধীনতার কারণে তার বাড়িতে হামলা হয়েছে। তারা বিএনপির জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের নেতা হওয়ার কারণে তাদের বিচার হওয়া উচিত নয়? তিনি আরও বলেন, এত বছর আওয়ামী লীগের আমলে যে ধরনের লুটপাট এবং চাঁদাবাজি হয়েছে, এখন রূপগঞ্জে তার থেকে বেশি অপরাধ এবং চাঁদাবাজি হচ্ছে। তিনি সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখতে চান, এই ঘটনাগুলো কারা করছে এবং এর পিছনে কারা ইন্ধন দিচ্ছে, সরকার তাদের খুঁজে বের করুক। পাশাপাশি তিনি তার বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আবেদন জানান।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
অপরাধ এর সর্বশেষ খবর