• ঢাকা
  • ঢাকা, বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫
  • শেষ আপডেট ২০ সেকেন্ড পূর্বে
প্রচ্ছদ / জাতীয় / বিস্তারিত
মেহেদি হাসান হাসিব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৫:১১ বিকাল
bd24live style=

এক দশকে জিডিপি বেড়েছে ৪০ লাখ কোটি টাকা

ছবি: নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডি২৪লাইভ

গত এক দশকে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার বেড়েছে ৪০ লাখ কোটি টাকা। এই সময়ে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের যুক্ত হয়েছে ৪০ লাখ ৫৮ হাজার খানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানী আগারগাওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যা ব্যুরো (বিবিএস) সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৪ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থনৈতিক সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভাপতি ড. কে এস মুর্শিদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। বক্তব্য রাখেন প্রকল্পটির প্রকল্প পরিচালক এস এম শাকিল আখতার।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে

গেল এক দশকে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার বেড়েছে ৪০ লাখ কোটি টাকা। এই সময়ে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের যুক্ত হয়েছে ৪০ লাখ ৫৮ হাজার খানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে সার্ভিস তথা সেবা খাতের প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে ৩৯ লাখ ১৯ হাজারটি আর উৎপাদন খাতে যুক্ত হয়েছে মাত্র এক লাখ ৩৮ হাজারটি। এ কারণে গত ১০ বছরে মাত্র ৬২ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

২০১২-১৩ অর্থবছরে দেশে উৎপাদন খাতে মোট উৎপাদনের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৯৭ হাজার ১২৭ কোটি টাকা। সর্বশেষ হিসাবে গত অর্থবছরে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১ লাখ ৩২ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকায়। ১১ বছরে উৎপাদন খাতের মোট উৎপাদনমূল্য প্রায় ৫.৭৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে সরকার প্রতিবছর গড়ে ১৪ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। এর মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে করোনাভাইরাসের প্রভাবে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ধস নামার বছরেও এই খাতে ৪ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছিল।

এছাড়া প্রতিবছরই উৎপাদন খাতে ডাবল ডিজিট, এমনকি কোনো কোনো বছর ১৮ শতাংশ ছুঁই ছুঁই প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়েছে। এই সময়ে মোট জিডিপিতে উৎপাদন খাতের অবদান ১৭.২৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৩.১৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলেও দাবি করে হাসিনা সরকার। উৎপাদন খাতের হাত ধরে শিল্প খাতে বছরের পর বছর ধরে দেখানো জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই হিসাব মিলছে না বিবিএস পরিচালিত অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৪ এর প্রাথমিক ফলাফলে।

অর্থনৈতিক শুমারির প্রাথমিক হিসাব বলছে, গত ১০ বছরে উৎপাদন খাতে অর্থনৈতিক ইউনিটের (প্রতিষ্ঠান) সংখ্যা বেড়েছে মাত্র ১৫.৩৯ শতাংশ। অথচ ২০০১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত সময়ে পরিচালিত শুমারির তুলনায় ২০১৩ সালের শুমারিতে এই খাতে অর্থনৈতিক ইউনিটের সংখ্যা বেড়েছিল ১০০.৪২ শতাংশ। সার্বিকভাবে দেশে অর্থনৈতিক ইউনিটের প্রবৃদ্ধি কমেছে বলে প্রতিবেদনটিতে উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, উৎপাদন খাতের প্রতিষ্ঠানে তুলনামূলক কম প্রবৃদ্ধি হওয়ায় অর্থনৈতিক ইউনিটে এই খাতের অবদান ৮.৭৭ শতাংশে নেমে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০০৩ সালে মোট অর্থনৈতিক ইউনিটে উৎপাদন খাতের অবদান ছিল ১২.১৪ শতাংশ, যা ২০১৩ সালে ১১.৫৪ শতাংশে নেমে আসে। এ হিসাবে টানা দুই শুমারিতেই কমেছে উৎপাদন খাতের প্রতিষ্ঠানের অবদান। গত ১০ বছরে সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬৯ লাখ ১৫ হাজার ৯৮২ থেকে ৫৬.৬৮ শতাংশ বেড়ে এক কোটি আট লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৬-এ দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস। এর ফলে মোট প্রতিষ্ঠানে সেবা খাতের অবদান ৮৮.৮৬ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১.২৩ শতাংশে।

অর্থনৈতিক শুমারির প্রতিবেদন মতে, গত এক দশকে অর্থনৈতিক ইউনিট বেড়েছে ৪০ লাখ ৫৮ হাজারটি। এর মধ্যে সেবা খাতে বেড়েছে ৩৯ লাখ ১৯ হাজারটি আর উৎপাদন খাতে বেড়েছে এক লাখ ৩৮ হাজার ৮৮৫টি; অর্থনৈতিক ইউনিট বাই টাইপে এক কোটি ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬৪টি। এর মধ্যে পার্মানেন্ট ৬২ লাখ ৮৮ হাজার ২১৪টি, টেম্পরারি পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার ৬২১টি। ইকোনমিক হাউসহোল্ডে ৫০ লাখ ১২ হাজার ৫২৯টি। ঠিক এর এক দশক আগে প্রতিষ্ঠান ছিল ৭৮ লাখ ১৮ হাজার ৫৬৫টি। এর মধ্যে পার্মানেন্ট ছিল ৪৫ লাখ ১৪ হাজার ৯১টি, টেম্পোরারি ছিল চার লাখ ৮২ হাজার ৯০৩টি। আর ইকোনমিক হাউসহোল্ড ছিল ২৮ লাখ ২১ হাজার ৫৭১। অর্থাৎ ৪০ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯৯টি অর্থনৈতিক ইউনিট বেড়েছে।

এছাড়া অর্থনৈতিক ইউনিটের মধ্যে গ্রামাঞ্চলে রয়েছে ৮৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৬১টি, আর শহরাঞ্চলে রয়েছে ৩৫ লাখ ৩১ হাজার ২০৩টি। এর আগে ২০১৩ সালে গ্রামাঞ্চলে ছিল ৫৫ লাখ ৮৯ হাজার ১৯টি, শহরাঞ্চলে ছিল ২২ লাখ ২৯ হাজার ৫৪৬টি। স্থানীয় বা পার্মানেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গ্রামাঞ্চলে রয়েছে ৩৯ লাখ ৪১ হাজার ৬৮টি, শহরাঞ্চলে রয়েছে ২৩ লাখ ৪৭ হাজার ১৪৬টি; যা ১০ বছর আগে ছিল গ্রামাঞ্চলে ২৯ লাখ ৩৬ হাজার ৪৫৯টি আর শহরাঞ্চলে ছিল ১৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৩২টি। টেম্পোরারি পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার ৬২১টির মধ্যে শহরাঞ্চলে রয়েছে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৯০৯টি আর গ্রামে দুই লাখ ৯১ লাখ ৭১২টি; যা ২০১৩ সালে ছিল দুই লাখ ৭৬ হাজার ৬৯৩টি।

প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালে তিন কোটি সাত লাখ ৬১ হাজার ৩৪ জন বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এর মধ্যে পুরুষ দুই কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ২৯৮ জন। মহিলা ৫১ লাখ ২৮ হাজার ৬৭৭ জন, হিজড়া দুই হাজার ৫৯ জন। এর আগে ২০০৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে কর্মসংস্থান বেড়েছিল এক কোটি ৩৩ লাখ। আর ২০১৩ সালে এসে কর্মসংস্থান দাঁড়ায় দুই কোটি ৪৫ লাখ ৮৫০। সে হিসাবে গত ১০ বছরে নতুন কর্মসংস্থান বেড়েছে মাত্র ৬২ লাখ ৬০ হাজার ১৮৪ জন। শিল্প খাতে গত ১০ বছরে এক লাখ ১৬ হাজার ৯৭৮টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে।

সালাউদ্দিন/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পাঠকের মন্তব্য:

BD24LIVE.COM
bd24live.com is not only a online news portal. We are a family and work together for giving the better news around the world. We are here to give a nice and colorful media for Bangladesh and for the world. We are always going fast and get the live news from every each corner of the country. What ever the news we reached there and with our correspondents go there who are worked for bd24live.com.
BD24Live.com © ২০২০ | নিবন্ধন নং- ৩২
Developed by | EMPERORSOFT
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ info@bd24live.com
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
ইমেইলঃ office.bd24live@gmail.com