ন্যায্যমূল্যে সার, বীজ, ও কীটনাশকসহ সকল কৃষি উপকরণ সরবরাহ এবং ফসলের লাভজনক দাম, স্বল্পমূল্যে রেশন ও কাজের নিশ্চয়তার দাবি জানিয়ে জয়পুরহাটে মানববন্ধন করেছে কৃষক ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের জিরো পয়েন্ট এ মানববন্ধন করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, কৃষক ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদের নেতা ও বাংলাদেশ কৃষক সমিতির জয়পুরহাট জেলার সভাপতি ইউনুছার রহমান, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক ওবায়দুল্লাহ মুসা, জেলা সদস্য উৎপল দেবনাথ, জেলা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ রশিদ।
কৃষক সমিতির সভাপতি ইউনুছার রহমান তার বক্তব্যে বলেন, কৃষক ক্ষেতমজুরদের সারা বছর কাজ, জীবন ধারণের মতো মজুরি ও খাদ্যের নিশ্চয়তা নেই। শোষণের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে কৃষক ক্ষেতমজুর এখন নিঃস্ব।
সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক ওবায়দুল্লাহ মুসা বলেন, কৃষি ঋণ, সার্টিফিকেট মামলা, এনজিও ঋণের সুদের কারবার কৃষক ক্ষেতমজুরদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
জেলা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ রশিদ বলেন, কৃষকদের ফসল সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত শস্য গুদাম ও হিমাগার নেই। ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয়কেন্দ্র নেই যার ফলে কৃষক লাভজনক দাম পাচ্ছে না। এতে লাভবান হচ্ছে চাতাল মালিক, মধ্যস্বত্বভোগী ও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর বিভিন্ন দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন কৃষক ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ।
স্মারকলিপিতে চাল, তেলসহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে আনাসহ বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানান। ধান আলু ও সবজিসহ অন্যান্য ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত ও উৎপাদক ও ভোক্তার মধ্যে সমবায় বাজার চালু এবং সরকারি উদ্যোগে আলুসহ সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার নির্মাণ করার দাবি জানান।
বিএডিসি কে পূর্ণাঙ্গরূপে সচল করে ন্যায্যমূল্যে সার, বীজ, কীটনাশক ও সেচের পানি দিতে হবে। ক্ষেতমজুরদের ১২০ দিনের কাজ নিশ্চিত সহ বয়স্ক বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার দাবিসহ স্মারকলিপিতে বিভিন্ন দাবির কথা উল্লেখ করেন কৃষক ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদ।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর