
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর বসত বাড়ির পিছনে শীতলক্ষ্যা নদীর পার থেকে ছয় বছর বয়সী শিশু সিফাতের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) কাপাসিয়া মধ্যপাড়া এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর পারে বালুর গদির পাশে একটি নির্জন জঙ্গলে ভোর ছয়টার দিকে স্থানীয়রা শিশু সিফাতে মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দিয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
পরিবার সূত্র জানায়, নিহত শিশু সিফাত (৬) কাপাসিয়া উপজেলার দর্স্যুনারায়নপুরের বড়টেক এলাকার সোহাগ হোসেনের ছেলে। সে গতকাল ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার কাপাসিয়া মধ্যপাড়া নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে দুপুর দেড় টার দিকে নিখোঁজ হয়। এসময় তার পড়নে জিন্সের প্যান্ট ও গায়ে হলুদ রঙের গেঞ্জি পরিহিত ছিল।
অনেক খোঁজাখুঁজি করে সিফাতের সন্ধান না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কাপাসিয়া থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করা হয়েছিল। আর আজকে অবুঝ শিশু ছেলে সিফাতের বস্তাবন্দি মরদেহ দেখে অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে স্থানীয়রা জানান, এ কেমন বর্বরতা, পরিবারের সাথে শত্রুতা থাকতে পারে, এই অবুঝ শিশুর সাথে কিসের শত্রুতা। এমন একটি তাজা প্রাণ কেড়ে নিয়ে কি মজা পেলো ঘাতক গুলো। তাদের সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত কাল ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে নানাবাড়ি থেকে শিশু সিফাত নিখোঁজের সংবাদটি দ্রুত ফেসবুকে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ায় অপহরণকারীরা রাতের কোনো এক ফাঁকে রিফাতকে গলায় প্লাস্টিকের রশি লাগিয়ে হত্যা করে এবং একটি প্লাস্টিকের বস্তায় বড়ে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে বালুর গদির পাশে একটি নির্জন জঙ্গলে বস্তাবন্দি অবস্থায় সিফাতের মরদেহ ফেলে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, শিশু সিফাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
ওসি আরও বলেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। শিশু সিফাতের গাড়ের ডান পাশে একটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে, দ্রুতই দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর