
দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) নোবিপ্রবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে "শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ, দিতে হবে দিতে হবে", “আমাদের দাবি আমাদের দাবি,মানতে হবে মানতে হবে”, “স্বজনপ্রীতি বন্ধ করো, বন্ধ করো বন্ধ করো” সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীদের দাবিকৃত ৪ টি দফা হলো, দ্রুত সময়ের মধ্যে সিনিয়র শিক্ষকসহ পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ, পরীক্ষার খাতায় কোডিং সিস্টেম চালু করা, ইম্প্রুভমেন্ট রেজাল্ট ২.৭৫ পর্যন্ত উন্নতি করা, মুট কোর্টের জন্য রুম বরাদ্দ দেওয়া।
মানববন্ধনে উপস্থিত আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জাফর আহমেদ বলেন, “আমরা আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। আমার দেখতে পাচ্ছি, স্বাধীনতা ২.০ এর পরেও আজ ৬ মাস পেরিয়ে গিয়েছে কিন্তু আমাদের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে অতিসত্বর শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে বলা হলেও এখন পর্যন্ত তার বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে ভর্তি হয়েছি, কিন্তু ভর্তি হওয়ার পরে আমরা বারংবার আশাহত হয়েছি। আমরা চাই অতিসত্বর আমাদের দাবিগুলো পূরণ করা হোক।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. জামসেদুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীদের ৪ টি দাবি যৌক্তিক। আমাদের ডিপার্টমেন্টে শিক্ষক সংকট রয়েছে। তবে এর একটা পার্ট-টাইম সমাধান করেছি নোয়াখালী বা বাহিরের কর্মরত এরকম ৪ জন জাজকে খণ্ডকালীন নিয়োগ দিয়ে। চেয়ারম্যান হিসেবে আমার চাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় যাতে আমাদের ডিপার্টমেন্টে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। কোডিং পদ্ধতি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে পাস হয়েছে, তবে ইম্প্রুভমেন্ট ২.৭৫ এ দেওয়া নিয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল তা পাস করেনি।
মুট কোর্টের জন্য আমরা বরাদ্দ পেয়েছি তবে শিক্ষার্থীরা চাচ্ছে তা ক্লাসরুম করার জন্য। কারণ, মোট ৩ টি ক্লাসরুমের মধ্যে দুটি ক্লাসের জন্য এবং একটি মুটের জন্য রাখলে তা হয়না। আমাদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিও এ ব্যাপারে পজিটিভ। তাছাড়া, আমরা আমাদের সব ল্যাব ইন্সট্রুমেন্ট দু-এক মাসের মধ্যে পেয়ে যাবো যা নিয়ে একটি কমিটি হয়েছে।”
মানববন্ধন শেষে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৪ টি দাবিসংবলিত স্মারকলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ ইসমাইল'র নিকট জমা দেওয়া হয়।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে নোবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, ২৭৬ জন শিক্ষকের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে ইউজি সি’তে। ৩৪২ কোটি টাকার অ্যাকাডেমিক ভবনের প্রজেক্ট পাশ হয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায়। এ প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হলে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম সমস্যার সমাধান হবে। তাছাড়া, আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য মুট কোর্টের জন্য বাজেট দেয়া হয়েছে।
এটার কাজ শীঘ্রই শুরু হবে এবং পরীক্ষার খাতায় কোডিং পদ্ধতি চালুকরন দুটি ডিপার্টমেন্টে হয়েছে। এটা এখনো পর্যবেক্ষণ চলছে। যদি সে ডিপার্টমেন্ট গুলোর ফলাফল প্রণয়নে সমস্যা না দেখি তাহলে আমরা সব ডিপার্টমেন্টেই কোডিং পদ্ধতি চালু করবো।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর