
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মাদ্রাসার নির্মাণকাজকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাঁধার সম্মুখীন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। তবে বন বিভাগ বলছেন এটি সংরক্ষিত বন ভূমি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নের আষারিয়া চালায় দিঘুলিয়াচালা নূরানী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই গ্রামে ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার ঘটাতে মাদ্রাসা নির্মাণ করেছেন। তবে অসাধু বন কর্মকর্তাদের তাণ্ডবে তা বাঁধার মুখে পড়েছে। বংশপরম্পরায় বসবাস করা জমিতে মাদ্রাসা নির্মিত হওয়াকে বন বিভাগ বাঁধা দিতে আসে। এটি বেআইনি বলে দাবি তাদের।
বন বিভাগের দাবি, মাদ্রাসাটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ভূমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে, তাই তারা উচ্ছেদ অভিযানে যায়। তবে, স্থানীয় গ্রামবাসীরা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং উচ্ছেদ ঠেকাতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
জানা যায়, বন বিভাগের কর্মকর্তারা পুলিশের সহায়তায় মাদ্রাসার নির্মাণকাজ বন্ধ করতে গেলে গ্রামবাসী প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। পরিস্থিতি তখন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যখন এক বন কর্মকর্তা বন্দুক তাক করে এক নারীকে গুলি করতে উদ্যত হন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এতে গ্রামবাসীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং বন বিভাগের কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন ।
ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরুদ্ধ বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা তখনও ক্ষোভ প্রকাশ করছিল, তবে নিরাপত্তা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. হাবিবুর রহমান জানান, সকালে একদল বন কর্মকর্তা ও পুলিশ এসে মাদ্রাসা নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বলেন। পরে স্থানীয় জনতা তা বাঁধা দিতে গেলে এক নারীকে বন্দুক তাক করে গুলি করতে যান এক বন কর্মকর্তা। এসময় মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিলে স্থানীয় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। পরে তাঁদের আটক করে রাখা হয়।
বন বিভাগের ধলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. ওয়াদুদুর রহমান বলেন, এটি সরকারি বনভূমি। এখানে কোনো স্থাপনা নির্মাণ বেআইনি। তাই আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে গিয়েছিলাম।
অন্যদিকে স্থানীয়রা দাবি করছেন, এটি আমাদের বংশ পরম্পরার বসতভিটা। এখানে বহু বছর ধরে বসবাস করছি। আমরা কোনো অবৈধ কাজ করিনি, বরং আমাদের ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের অধিকার রয়েছে।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়রা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের আটক করে রেখেছিল। পরে পুলিশের সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করেছি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর