বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) শিক্ষক-কর্মচারী এখনো ডিসেম্বর মাসের বেতন ভাতা পাননি। এতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওই সকল শিক্ষক-কর্মচারীরা।
ইএফটি (ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফার) জটিলতার কারণে তাদের বেতন পায়নি বলে জানিয়েছেন এপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। ফলে তারা চরম অর্থ কষ্টে ভুগছেন। উপজেলার ভাটরা খান চৌধুরীর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বেতন চলে আসবে।
এজন্য নভেম্বর মাসে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অনলাইনে পাঠানো হয়। আবার ওই কাগজের হার্ড কপি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিতে হয়েছে। আমার প্রতিষ্ঠানে প্রথম ধাপে সাতজনের বেতন ভাতা এসেছে। পরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে সাতজনের নাম এলেও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকেনি।
আর বাকি তিনজনের নাম এখনো আসেনি। ইএফটি নতুন একটি সিস্টেম। এজন্যই সমস্যা হচ্ছে। বেতন না পাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা খুব অর্থ কষ্টে রয়েছেন।
বুড়ইল উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি গৌরাঙ্গ চৌহান বলেন, ইএফটিতে আমার নাম আসেনি। জানুয়ারি মাসের শেষে দিকে এসেছে। এখনো আমি ডিসেম্বর মাসের বেতন পাইনি। ধার দেনা করে কোনোভাবে চলছি। খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি নন্দীগ্রামে কিছুদিন আগে যোগদান করেছি। এ উপজেলার কতজন শিক্ষক-কর্মচারী ইএফটিতে তাদের বেতন ভাতা পেয়েছে পাসওয়ার্ড না পাওয়ায় তা দেখতে পারছি না।
এজন্য তথ্য দিতে পারছি না। তবে ইএফটি (ইলেকট্রিক ফান্ড ট্রান্সফার) নিয়ে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর