টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে অবৈধভাবে দখল হওয়া বন বিভাগের জমি উদ্ধার করতে গিয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বন বিভাগের আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নের আষাড়িয়া চালা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

সংঘর্ষে আহত বন বিভাগের আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ও ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ধলাপাড়া সদর বিট অফিসার আব্দুল কুদ্দুস, ফরেস্ট গার্ড আশরাফুল ইসলাম, মাসুদ ও শরিফ মিয়া টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া ফরেস্ট গার্ড জাহাঙ্গীর, গালিভ, আবু বকর ও মালি হান্নান ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

জানা গেছে, ধলাপাড়া সদর বন বিট কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে বন বিভাগের একটি দল ওই এলাকায় অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য যায়। সেখানে মাদিনাতুল উলুম রহমানিয়া নামের একটি মাদ্রাসা ভবন নির্মাণকাজ চলছিল। বন বিভাগের লোকজন নির্মাণকাজ বন্ধ করতে গেলে গ্রামবাসীরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে মানুষ জড়ো করে এবং তাদের ওপর হামলা চালায়।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘাটাইল থানার ওসি রকিবুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্ধার করেন। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিন আক্তার ঘটনাস্থলে যান।

স্থানীয় ব্যবসায়ী রুহুল আমিন জানান, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বন বিভাগের মৌখিক অনুমতি নিয়ে ভবন নির্মাণ শুরু করেছিল। তবে বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযান চালানোর সময় বন বিভাগের কর্মকর্তারা কয়েকজন মাদ্রাসা ছাত্রকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা তাদের ওপর হামলা চালায়।

ঘাটাইল থানার ওসি রকিবুল ইসলাম বলেন, "বনের জমি উদ্ধার করতে গিয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা জনরোষের শিকার হন। খবর পেয়ে আমরা তাদের উদ্ধার করি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।"

এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

মুনতাসির/সাএ