ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়ন জামায়াত কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে লেমুয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামী আমীর মুন্সি কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া।
প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক আবু ইউছুপ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা মাহমুদুল হক, জেলা জামায়াতের ইসমালীর সেক্রেটারি মাওলানা আবদুর রহিম, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা নাদেরুজ্জামান, সদর উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা হারুন উর রশিদ।
ইউনিয়ন জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মো: এয়াকুবের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, সাইফুল ইসলাম, একরামুল হক, ইউছুপ মিলন, আমির হোসেন মামুন, জাহিদ হাসান ভূঞা, সুলতান মাহমুদ টিপু।
প্রধান অতিথি বলেন জুলাই আগস্টে দেশের মুক্তিকামী ছাত্রদের বুকের তাজা রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। এ রক্তের ঋণ আমাদের একটি ইতিহাস হয়ে থাকবে।
আওয়ামী লীগ এদেশকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে, শেখ হাসিনা দেশকে জাতিকে বিবিক্ত করেছে। অতিতে যারা দেশকে জাতিকে বিভিন্ন করতে ছেয়েছে তারা ধ্বংস হয়ে গেছে। শেখ হাসিনা ও ধ্বংস হয়ে গেছে, আল্লাহর আইন ছাড়া কখনো একটি দেশ সঠিকভাবে চলতে পারে না, শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীকে ধ্বংস করতে চেয়েছে আমাদের নেতাকর্মীদের ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে আমরা শেষ হয়নি অতীতের চেয়ে জামায়াতে ইসলামী এখনো আরো অনেক বেশি শক্তিশালী তাই নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন।
বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর কোন নেতাকর্মী এ পর্যন্ত কোন অনিয়ম চাঁদাবাজি টেন্ডারে জড়িত নেই। আগামীতে আমাদের ঐক্য বদ্ধ ভাবে সাংগঠনিক নিয়ম মেনে এগিয়ে যেতে হবে। জামায়াত ক্ষমতা আসলে দেশে যাকাত খাওয়ার মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামীকে আগামী ৫ বছরের জন্য ক্ষমতায় দিন ৫ বছর পর এ দেশে যাকাত খাওয়ার মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
শেখ হাসিনা বিগত ১৭ বছর শুধু রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অশান্তি সৃষ্টি করেননি প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ও ঘরে ঘরে অশান্তির আগুন জ্বালিয়েছিল। কিন্তু জালেম টিকে থাকতে পারেনি। যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে তাদেরকেও রাজাকার বলেছেন। তাদের অপরাধ তারা আওয়ামীলীগ করেনি। মানুষের সম্মান নিয়ে তারা তামাশা করেছিল। তাদের পরিণতি এ জাতি দেখেছেন। সুতরাং কোন মানুষকে খাটো করে দেখা হারাম।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। কিন্তু আমরা কথায় কথায় মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছি। সেটার পরিণতিও ভালো হয়নি।
সমাজের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। মানুষের অকল্যাণ হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনি যে জিনিস পছন্দ করবেন না তা অন্যের জন্যও হতে পারে না।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর