যুক্তরাষ্ট্রে একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব প্রথা। এতে দেশটিতে যারা জন্ম নিত তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পেত।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পরই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এতে পরিবর্তন আনেন।
তিনি আদেশ জারি করেন, অবৈধ অভিবাসী ও যাদের বাবা অথবা মা একজনের অন্তত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নয়, তাদের সন্তানরা আর এই সুবিধা পাবে না। তবে ট্রাম্পের এ আদেশ আটকে দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। যদিও এখনো নিজের আদেশ কার্যকরের চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।
ট্রাম্প নতুন করে এ বিষয় নিয়ে আবারও মন্তব্য করেছেন। তিনি তার ওভাল অফিসে বলেছেন, “জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব, যদি আপনি দেখেন যখন এই আইনটি পাস করা হয়েছিল, তখন এটি করা হয়েছিল ক্রীতদাসের সন্তানদের জন্য। এটি ছিল ভালো একটি বিষয়।
কিন্তু এ বিষয়টি পুরো বিশ্বের জন্য করা হয়নি, যেখানে সবাই আসবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে স্তূপ তৈরি করবে। সবাই যুক্তরাষ্ট্রে আসছে এবং সম্পূর্ণ অযোগ্য মানুষ, সম্ভবত অযোগ্য শিশুরা। তাদের জন্য জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব করা হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি সম্পূর্ণভাবে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের পক্ষে। কিন্তু এটি করা হয়নি এ কারণে যে, বিশ্বের সব মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে এসে আমাদের দেশ দখল করবে।”
বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রসহ মাত্র ৩৩টি দেশে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কোনো জটিলতা নেই। মার্কিন অভিবাসন স্টাডিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে অবৈধ অভিবাসী বাবা-মায়েদের ঘরে জন্ম নেয় ২ লাখ ২৫ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার শিশু। যা ওই বছর দেশটিতে জন্ম দেওয়া মোট শিশুর সাত শতাংশ।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর