হবিগঞ্জ কারাগার থেকে ভুয়া জামিননামা দিয়ে ৪ আসামি বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনার মূলহোতা জিআরও’র সহযোগী আটক হোসাইন মো. আরিফ (২৫) দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এদিকে এ মামলায় আরও যারা জড়িত তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। তাছাড়া আমল আদালত-৬ এর জিআরও এএসআই মো. মীর কাশেম বাদি হয়ে আরিফকে প্রধান করে আরও ৬ জনের নাম উল্লেখ করে জালিয়াতির মামলা করেছেন সদর থানায়।
এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ আরিফকে আদালতে পাঠালে সে দীর্ঘ স্বীকারোক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। যা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
জানা যায়, প্রায় ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আরিফ ও তার সহযোগীরা জালিয়াতির মাধ্যমে জামিননামা তৈরি করে কারাগারে পাঠিয়ে আসামিদের ছাড়িয়ে নেয়।
কারাগার থেকে বের হয়ে যাওয়া মাদক ব্যবসায়ীরা হল, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার শিমুলগঞ্জ গ্রামের আব্দুল কদ্দুছ মিয়ার পুত্র রুয়েল মিয়া, একই উপজেলার কিরণ মিয়ার পুত্র আলী হোসেন, জগন্নাথপুর উপজেলার পাগলা গ্রামের সজলু মিয়ার পুত্র আজাদ মিয়া ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার কিরগাও গ্রামের লেবু মিয়ার পুত্র সুয়েব মিয়া।
জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি মাধবপুর থানার মামলায় (নং-১০, তাং-০৬/০১/২০২৫ইং জিআর ১০/২৫) উল্লিখিত ৪ জনকে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া থেকে প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১২-৬৬১৮) গ্রেফতার করা হয়। তখন তাদের কাছ থেকে ৩৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মাদক কারবারিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফয়সল আদালতে বেশ কয়েকবার তাদের জামিন আবেদন প্রার্থনা করেন। কিন্তু আদালত তাদেরকে জামিন দেননি। সবশেষ তিনি বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে গত ২৬ জানুয়ারিও তাদের জামিন আবেদন করলে সেখানে না মঞ্জুর হয়। এদিকে হঠাৎ করে গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) আসামিরা জামিনে বের হয়ে যায়।
বিষয়টি জানতে পেরে গত ৩০ জানুয়ারি অ্যাডভোকেট ফয়সল আদালতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি নিশ্চিত হন তার আসামিরা ভুয়া জামিননামা তৈরি করে জিআরও অফিসের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে। পরে সেখান থেকে তারা ছাড়া পেয়েই পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ভুয়া জামিনে বেরিয়ে যাওয়া পলাতক আসামিদেরও ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর