কুমিল্লায় যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলাম এর হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন তার পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসী। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিহতের লাশবাহী অ্যাম্বুল্যান্স কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে যৌথবাহিনীর পরিচয়ে কিছু সেনা সদস্য ও সিভিলে থাকা ব্যক্তি তৌহিদকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়। তিনি জেলার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি শিপিং কোম্পানিতে চাকরি করতেন। চার দিন আগে বাবা মারা যাওয়ার খবরে তিনি বাড়িতে আসেন।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশে সোপর্দ করার পর কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তৌহিদের স্ত্রী ও স্বজনদের অভিযোগ মরদেহ গোসল করানোর সময় তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। মানববন্ধনে বিচার চেয়ে বক্তব্য রাখেন নিহত তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার।
তিনি বলেন, আমার স্বামী কোনো সন্ত্রাসী ছিলেন না। তাকে কেন এভাবে মারা হলো। আমি ৪ সন্তান নিয়ে বিধবা হলাম।
মানবন্ধনে তৌহিদুলের ভাগ্নি প্রফেসর মাহবুবা উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত দফায় দফায় আমরা কুমিল্লা সেনানিবাসের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘটনার সাথে জড়িতদের সেনা আইনে বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা যদি ন্যায় বিচার না পাই তাহলে বিধি অনুসারে আইনগত পদক্ষেপ নেব।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগর শাখার সদস্য সচিব রাশেদুল হাসান বলেন-ঘটনার পর থেকে আমরা এ বিষয়ে অনেকের সাথে কথা বলেছি, সেনাবাহিনী জুলাই আগস্ট আন্দোলনে জনতার সাথে মধুর সম্পর্ক রেখে দেশের জন্য কাজ করেছে। এভাবে কোন নিরপরাধ ব্যক্তির মৃত্যু আমাদের কষ্ট দেয়। আশা করি ওই ব্যক্তির পরিবার এর বিচার পাবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর