মেহেরপুর জেলা বিএনপির ৩১ সদস্য বৈশিষ্ট্য আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মেহেরপুর সদর উপজেলা বিএনপি।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে মেহেরপুর কাথুলি বাসস্ট্যান্ড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মারুফ আহম্মেদ বিজনের নেতৃত্বে মিছিলটি মেহেরপুর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিলে নেতাকর্মীরা মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি পুর্ণবিবেচনার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি'র নির্বাহী সদস্য ও মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্ট, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মারুফ আহমেদ বিজন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, শ্রমিক দলের সভাপতি আহসান হাবীব সোনা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ রাজিব খান, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি বাবু সাবের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর সুজন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসনাত আফরোজ সহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। এর আগে কাথুলী বাসস্ট্যান্ডে পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পথসভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য মাসুদ অরুন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্ট, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
পথসভায় বক্তারা বলেন, ‘৬ বছর যারা রাজপথে লড়াই সংগ্রামে ছিল না তারা আজ আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে। এই আহ্বায়ক কমিটি টাকার বিনিময়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের কমিটিতে নিয়ে আসছে। এ কমিটি আমরা মানি না, কমিটি হবে শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কে জনগণের সামনে, জনগণের কথায় হবে শেষ কথা।
বক্তারা আরো বলেন, আমরা দেখলাম সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে ভোরে তাকে দুইটি মামলায় আদালতে হাজির করানো হয়। আমাদের নেতাকর্মীদের ডান্ডা বাড়ি দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
ডক্টর ইউনুস কে অসুস্থ শরীর নিয়ে আটতলায় হেঁটে হাজিরা দিতে হয়েছে। তাকে এত কিসের প্রোটোকল। এখনও আওয়ামী লীগের দোসররা প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে আছে। এদের তালিকা প্রস্তুত করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর