শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বাজেট ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। এবার উন্নয়ন বাজেটে (এডিপি) সংশোধনের ক্ষেত্রে দেশীয় অর্থায়নের চেয়ে বৈদেশিক অর্থায়ন বেশি হবে। যেমন বৈদেশিক ঋণ হবে উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ৬০ ভাগ আর দেশীয় অর্থায়ন হবে ৪০ ভাগ। রাজস্ব আয় না বাড়ার কারণে এ উদ্যোগ আছে। তবে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, চীনা প্রকল্পের ঠিকাদারেরা রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছিলেন। আমরা সে অবস্থার পরিবর্তনে কাজ করছি।
তিনি বলেন, মোংলা বন্দরের সুবিধাদি সম্প্রসারণ প্রকল্পের চীনের অর্থায়ন আছে। আমরা খতিয়ে দেখেছি এই ঋণের ক্ষেত্রে কোনো দুর্বলতা বা ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে কি না। সেটি হয়নি। তা গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পটি আমাদের সরকারের নয়, গত সরকারের ছিল।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন মহামুদ বলেন, আমরা বৈদেশিক ঋণ বেশি নিলেও সেটি যাতে উৎপাদনশীল কাজে লাগানো যায়। বৈদেশিক ঋণ নিয়ে রপ্তানিমুখী খাতে ব্যয় করা হবে।
তিনি বলেন, চলমান প্রকল্প চলছেই। সেগুলোতো মাঝপথে বন্ধ করা যাবে না। তবে অবকাঠামো অংশ বাদ দিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা হবে। যেমন শুধু মেডিকেল কলেজ বা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে। কিন্তু সেগুলো যন্ত্রপাতি পরিচালনা এবং শিক্ষা দেওয়ার মতো দক্ষ শিক্ষক নেই। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে কিন্তু ৮০ ভাগ শিক্ষক নেই। সেজন্য দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, গত সরকারের মেগা প্রকল্পগুলো বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের চাপ বাড়ছে এ অর্থবছর থেকেই। আর আগামী অর্থবছরগুলোতে আসল পরিশোধের ব্যাপক চাপ বাড়বে। এরপরও বলব বৈদেশিক ঋণ আমাদের জন্য খারাপ নয়। যেমন ভিয়েতনাম অনেক বৈদেশিক ঋণ নিয়েছিল। কিন্তু তারাতো কোনো সমস্যায় পড়েনি। বিদেশি ঋণ যদি সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ তৈরি করে তাহলে ভালো।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর