জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধারকী- সতিঘাটা এলাকা থেকে রোববার সকাল সাড়ে ১১ টায় পিপাস নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন জানান, মাহমুদুল হাসান পিপাস নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে । তিনি একটি বেসরকারি ঔষধ কম্পনিতে চাকরিরত ছিলেন। গত ২৯ জানুয়ারি বিকেল থেকে তিনি নিখোঁজ হন বলে জানায় পুলিশ ও পরিবার। এ সময় তাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না।
পিপাসের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এক প্রতারক চক্র ঈশ্বরদীতে তাকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় পাওয়া গেছে এমন কথা বলে চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা দাবী করে এবং নিজেকে পুলিশ হিসেবে পরিচয় দেয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলায় পরিবার থেকে সরল বিশ্বাসে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা বাবদ নাম্বারে ১৮ হাজার টাকা বিকাশ করা হয় । এরপর থেকে আর তার সাথে পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করতে পারেনি। তখন বুঝতে পারে এটি একটা প্রতারক চক্র।
এরপর থেকে পিপাসের নিজের ফোন ও টাকা পাঠানো নম্বরে বার বার পরিবারের সদস্যরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি । আজ রোববার সকালে পরিবারের লোকজন খবর পায় ধারকী- সতিঘাটা এলাকায় ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে। সেখানে গিয়ে পরিবারের লোকজন পিপাসের লাশ শনাক্ত করেন। মাহমুদুল হাসান পিপাসের পরিবার থেকে ওই প্রতারক চক্রের লোকজন হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে মর্মে অভিযোগ করে।
পুলিশ খবর পেয়ে পিপাসের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত পিপাসের বাড়ি জামালগঞ্জ রেলগেট মাস্টার পাড়াতে। সে মৃত মাহবুবুর রহমানের ছেলে বলে জানায় পুলিশ। হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্ত শেষে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে বলে জানান, ওসি শাহেদ আল মামুন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর