গত ২৮ জানুয়ারি দিবাগত রাতে বগুড়া সদরের এরুলিয়া বিমানবন্দর মোড় এলাকায় ডাকাতির সময় ফেলে যাওয়া জুতার সূত্র ধরে বগুড়া সদর থানা পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে দুর্ধর্ষ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করেছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার সদর থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।এরআগে রোববার ভোররাত ৫টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করে সদর থানা পুলিশে বেশ কয়েকটি দল।
গ্রেপ্তার দুর্ধর্ষ ৭ ডাকাত হলেন, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার আবদুল্লাপুর মৃধাপাড়ার মোঃ সুলতান (৪৫), কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ডাংহাট এলাকার মোঃ মমিনুর রহমান (৩৪), বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দেবচন্ডি এলাকার মোঃ মুকুল ইসলাম ওরফো পটল (৪১), আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রামের মোঃ রাকিব শেখ (২০) ও মোঃ শাকিল শেখ (২৩), কাহালু উপজেলার আড়োলা গ্রামের মোঃ আল-আমিন (১৯) এবং সোনাতলা উপজেলার শিহিপুর বটতলা মোঃ লাদেন (২২)। ডাকাতি ব্যবহৃত ১টি বোল্ট বাটার, ১টি এসএস পাইপ, ১টি লোহার তৈরি শাবল, ১টি বার্মিজ চাকু, এক জোড়া জুতা ও ১টি কাপড়ের ব্যাগ (ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে যায়)।
গ্রেপ্তারের সময় উদ্ধার হওয়া লুণ্ঠিত মালামাল সমূহ হলো, ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের, ১টি কানের দুল, ৬ আনা ওজনের স্বর্ণের ১টি চেইন, ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের ১টি কানের দুল, ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের ১টি চেইন, ৬ আনা ওজনের স্বর্ণের ১টি ব্রেসলেট, দেড় আনা ওজনের স্বর্ণের ২টি আংটি, নগদ সাড়ে তিন হাজার টাকা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার জানান, গত ২৮ জানুয়ারি বগুড়া সদরের এরুলিয়া বিমানবন্দর মোড়ে কামাল হোসেনের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেসময় ওই বাড়ির লোকজনকে বেঁধে রেখে ডাকাত দল উদ্ধার হওয়া লুণ্ঠিত মালামাল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট করে। এসময় ভুক্তভোগীরা ডাক চিৎকার শুরু করলে ডাকাতরা ভয়ে পালিয়ে যায়। এসময় ডাকাতরা এক জোড়া জুতা (কেডস) ও কাপড়ের ব্যাগ ফেলে রেখে যায়। পরে সদর থানায় ভুক্তভোগী কামাল হোসেন অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, ফেলে যাওয়া জুতা ও কাপড়ের ব্যাগের সূত্র ধরে ঘটনার পর থেকে সদর থানা পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করে। এবং ডাকাতদের শনাক্ত করে একাধিক টিম রোববার ভোররাত ৫টা অবধি জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এসময় বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এসএম মঈনুদ্দিন, তদন্ত ইন্সপেক্টর একেএম মঈন উদ্দিন সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর