বান্দরবানের লামা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ী এলাকা থেকে আবারো ৭ শ্রমিককে অপহরণ করেছে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা। রবিবার ভোররাতের দিকে উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের কমলা বাগান পাড়া এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয় বলে জানা গেছে। অপহৃতরা স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী জনৈক হেলাল উদ্দীনের অধীনে গভীর পাহাড়ে লাকড়ি সংগ্রহ করছিল।
এ ঘটনার পর সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে বলে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন। ওই এলাকায় শ্রমিকরা কাঠ ব্যবসায়ী মোঃ হেলালের তত্ত্বাবধানে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের জন্য গিয়েছিল। যারা অপহৃত হয়েছেন তারা হলেন মোঃ নুরু (৫০), মোঃ আলমগীর (৩৫), মোঃ শফি আলম (৩২), মোঃ হেলাল (৪০) ও গাড়ি চালক মোঃ জামাল (৩২)। অপর দুজনের নাম এখনো জানা যায়নি।
স্থানীয়রা ও কয়েকজন জনপ্রতিনিধি বলছেন, কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে সন্ত্রাসীরা ৭ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। চাঁদার দাবিতে ও দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাঁদের অপহরণ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবানের লামা সহ আশেপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা চাঁদাবাজি ও অপহরণের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
লুলাইং মৌজা হেডম্যান চিংপাস ম্রো বলেন, গজালিয়া ইউনিয়নের কমলা বাগান পাড়া এলাকা থেকে কয়েকজন শ্রমিক অপহরণ হয়েছে মর্মে শুনেছি। এ বিষয়ে কাঠ ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার ৬ জন লোককে খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানিয়ে মোবাইল সংযোগ কেটে দেন।
কেয়াজু পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের আইসি মোঃ আতিকুর রহমান জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ টিম পাঠিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি গভীর রাতে দুর্গম বমুখাল এলাকায় সশস্ত্র পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা ৩টি খামার বাড়ি থেকে ৭ জন তামাক শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে যৌথবাহিনীর অভিযানের মুখে অপহৃতরা মুক্তি পান।
এছাড়া গত ২৭ জানুয়ারি উপজেলার সরই ইউনিয়নের কেয়াজুপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর সময় স্থানীয়রা অস্ত্রসহ মংএনু মার্মা (৩৪) নামের এক পাহাড়ী সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর