ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল থানার একটি অপহরণ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করে গাড়িতে তোলার সময় ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)'র হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে স্থানীয়রা।
এ সময় সিআইডি ও পুলিশ সদস্যদের আহত করার পাশাপাশি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হরিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শরীফুল ইসলাম
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এসআই জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে সিআইডির পাঁচ সদস্যের একটি দল ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল থানার নারী-শিশু অপহরণ মামলার আসামি সুমনকে (২৬) পার্শ্ববর্তী হরিপুর উপজেলার বনগাঁও বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় গ্রেপ্তার সুমনকে গাড়িতে তুলতে গেলে স্থানীয় শতাধিক লোকজন পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং সংঘবদ্ধভাবে হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয় জনতা তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে রাত ৯টার দিকে ১১ সদস্যের একটি পুলিশের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তফার নেতৃত্বে প্রায় ১৫০-২০০ জনের একটি দল পুলিশের অভিযান ঠেকাতে সংঘবদ্ধ হয়। উত্তেজিত জনতা মাইক্রোবাসের চালককে মারধর করে এবং গাড়ির সামনের কাচ ভেঙে ফেলে। পরে তারা আসামি সুমনকে পুলিশের হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া মন্ডল বলেন, অভিযানে অংশ নেওয়া সিআইডির দলটি নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়ে গেলে হরিপুর থানায় সহায়তা চায়।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ১১ সদস্যের একটি পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত ৯টা ৪৫মিনিটে অপারেশন টিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ ঘটনার পর ঠাকুরগাঁও জেলা সিআইডির পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী হরিপুর থানায় গিয়ে অভিযানের পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।
আসামিকে পুনরায় গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর