নাটোরের বড়াইগ্রামে বিএনপির দুপক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার কয়েন বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান কয়েন বাজারে দলীয় কার্যালয় তৈরির জন্য একটি দোকান ভাড়া নেন। এতে বাধা দেন নগর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আতাউর রহমান। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে রবিবার বিকালে কয়েন বাজারে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে রাতে দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে মিজানুর গ্রুপের আহতরা হলেন- মিজানুর রহমান (৩৫) ও তার বাবা মো. জিন্নাহ (৬০), নগর ইউনিয়ন শ্রমিক দল নেতা মো. রুবেল (২৬), নগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক সুজন (৩২), শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম (৪৫), বিএনপি নেতা আজগর আলী (৬৫), ছাত্রদল নেতা মো. সোহেল (২৫), শুভ (২২) ও জুয়েল রানা (২০)। আতাউর গ্রুপের আহতরা হলেন- ছাত্রদল নেতা হৃদয় (২৫), উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. সানা উল্লাহ (৫৫), বিএনপি নেতা নাসিম (২৭), ডা. মো. সাইদুল ইসলাম (৫৫) ও মো. সাইফুল ইসলাম (৫২)। এদের মধ্যে হৃদয়, রুবেল ও জিন্নাহকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর