নরসিংদীর শেখেরচরে ঘরে ঢুকে সুমনা আক্তার তিথি (১৩) নামে এক কিশোরীকে হত্যা ও মাকে আহতের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার ও হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পিবিআই। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় লুট হওয়া ১০ লাখ ১ হাজার একশত টাকাসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফরিদপুর জেলার পাঁচই এলাকার বাসিন্দা মো. রমজান শেখ ওরফে লিমন (২২), তার ভাই হাসিবুর রহমান শান্ত (৩১), নেত্রকোনার গন্ডা এলাকার বাসিন্দা মো. কাউছার মিয়া (২০) ও নাটোর জেলার চর গোয়াশ এলাকার বাসিন্দা মো. ইমন আলী (২১)। তারা শেখেরচর এলাকায় বাসাভাড়া নিয়ে থাকতেন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, পিবিআই নরসিংদীর পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মো: এনায়েত হোসেন মান্নান। এর আগে নরসিংদী, ফরিদপুর, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, ঢাকা ও বরিশালে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ঘরে ঢুকে মোটা অঙ্কের টাকা লুট করতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শেখেরচর এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের বসত বাড়িতে ঢুকে। এসময় ৭ বছরের প্রতিবন্ধী শিশু সন্তানকে বাথরুমে আটক রাখে তারা। পরে বাসায় থাকা টাকা লুট করার সময় বাধা দিলে গৃহবধূ আসমা বেগম ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী সুমনা আক্তার তিথিকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তিথীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গুরুতর আহত মা আসমা বেগম ঢাকার একটি হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনার পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে জড়িত থাকা আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। লুট হওয়া ১০ লাখ ১ হাজার একশত টাকা জব্দ করা হয়। আসামীদের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে গৃহকর্তা মোফাজ্জল হোসেন ঘরে ঢুকে স্ত্রী ও সন্তানকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর