উৎসাহ আর উদ্দীপনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের ৭৪ টি মণ্ডপে এবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বিদ্যার দেবী সরস্বতীর আরাধনা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, ভগবানের জ্ঞান ও বিদ্যার রূপ হলেন দেবী সরস্বতী। প্রতিবছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের শ্রী পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যাদেবীর পূজা হয়। হাতে বীণা থাকে বলে সরস্বতীকে বীণাপাণিও বলা হয়।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে বিদ্যাদেবী সরস্বতীর আরাধনায় পূজা অর্চনার মাধ্যমে শুরু হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা। প্রতিবারের মতো এবারও হলের খেলার মাঠের চারিদিক দিয়ে বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা পূজার আয়োজন করেছে। প্রত্যেকটি মণ্ডপেই শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং আগত অতিথিদের ভিড়।
অন্য বছরের মত এবারও এ হলের পুকুরের মাঝে বসানোর জন্য দৃষ্টিনন্দন প্রতিমা তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। এছাড়া হল প্রাঙ্গনজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইন্সটিটিউট ও বিভাগ বিভিন্ন ধারণা ও থিম নিয়ে নিজস্ব স্বকীয়তায় নিজ নিজ মণ্ডপ ফুটিয়ে তুলে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী বিনয় ব্যাপারী বলেন, আমার ব্যক্তিগত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের চতুর্থ তম পূজা ছিল। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছু শঙ্কা থাকলেও পুরোপুরি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারের পূজা। এবার এত বড় আয়োজন বন্ধুদের নিয়ে এসেছি পূজা দেখতে।
এদিকে ঐতিহ্যবাহী এ পূজার আয়োজন পরিদর্শন করতে এবার এসেছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। এ সময় তাঁরা হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পূজার সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন।
জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ ও পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক দেবাশীষ পাল বলেন, জগন্নাথ হল কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে একটি, বিভাগ ও ইনস্টিটিউশনগুলোর পক্ষ থেকে ৭২ টি এবং জগন্নাথ হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যুবাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি মণ্ডপের আয়োজন করা হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় পূজা চলছে। পূজার সার্বিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধানে হল প্রশাসনের মোট ১১ টি উপ-কমিটি কাজ করছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর