নাটোরের সিংড়ায় পরকীয়ায় সংসার ভেঙ্গেছে তানিয়া (২৮) নামে এক গৃহবধূর। তানিয়ার স্বামীর অনুপস্থিত ঘরে ঢুকে হাতেনাতে ধরা খায় শাহিন। পরের দিন উভয়ের সম্মতিতে তালাকনামা হয়।
এদিকে প্রেমিক শাহিনকে বিয়ের দাবিতে অনশনে তানিয়া। ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও শাহিনের ঘর ছাড়তে নারাজ। না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের ইছলবাড়িয়া গ্রামে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রেমিক শাহিনের ঘরে অনশনে অসুস্থ তানিয়ার স্যালাইন চলছে। অপরদিকে তিনদিনেও ছেলের খোঁজ না পাওয়ায় বৃদ্ধা শাহিনের মাও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে উপজেলার ঠেংগাপাকুরিয়া গ্রামের শাহাদাত হোসেনের মেয়ের সাথে ইছলবাড়িয়া গ্রামের মৃত শামসুল আলম মৃধার ছেলে রাজুর বিয়ে হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তানিয়ার ঘরে ঢুকে প্রেমিক শাহিন। অত:পর হাতেনাতে ধরা পড়ার পরের দিন শুক্রবার দু’পক্ষের স্বজন ও কাজীর উপস্থিতিতে স্বামীর সম্মতিতে তালাক দেয়া হয়। তালাক দেয়ার পর প্রেমিক শাহিনের বাড়িতে অবস্থান নেয় তানিয়া। তারপর বিয়ের দাবিতে অনশন করতে থাকে। এদিকে প্রেমিক শাহিন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
তানিয়ার বাবা শাহাদাত হোসেন জানান, মেয়ের তালাকনামা হয়েছে। বর্তমানে সে মুমূর্ষু অবস্থায় শাহিনের বাসায় আছে। আমার মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়েছে শাহীন। তার জন্য তার সংসার ভেঙ্গে গেছে। আমরা দোষীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
অভিযুক্ত শাহীন কে একাধিকবার তার মুঠোফোনে কল দিলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত শাহীনে মা সাজেদা বেগম বলেন, তানিয়ার সাথে আমার ছেলের সম্পর্ক আছে তারা দুজন রাজি থাকলে আমরা বিয়ে দিয়ে দিব।
সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর