গত ৫ আগস্টের পর চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন থানায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে ৯টি মামলা দায়ের হয়েছে। জেলার ৫টি থানার মধ্যে দামুড়হুদা মডেল থানায় কোনো মামলা হয়নি।
বাকি চারটি থানার মধ্যে সদর থানায় ৫ টি, আলমডাঙ্গা থানায় ২ টি, জীবননগর থানায় ১ টি ও দর্শনা থানায় ১ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৫টি থানায় খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলা হওয়া চারটি থানার অফিসার ইনচার্জদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ৯টি মামলার মধ্যে সবগুলো আসামি গ্রেফতার হয়নি। আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মামলাগুলো তদন্তাধীন অবস্থায় আছে। এসব মামলায় ২ শতাধিক আসামি রয়েছে।
মামলাগুলোর মধ্যে আছে চুয়াডাঙ্গা বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, প্রাণনাশের চেষ্টা, বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান প্রভৃতি।
জানা গেছে, গেল ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের দিনে ছাত্র জনতার মুখে পড়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে পালিয়ে যান স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যসহ নেতাকর্মীরা। এরপরই বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দায়ের করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ভুক্তভোগীরা। কিন্তু মামলার অধিকাংশ আসামীরাই রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
যদিও জেলা পুলিশের দাবি, মামলার কিছু আসামি ধরা পড়েছে। আবার কিছু আসামি আদালতের মাধ্যমে জামিন পেয়েছেন। মামলার আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযানের পাশাপাশি আইনি তদন্ত অব্যাহত রেখেছে জেলা পুলিশ।
একটি মামলার বাদী ও ছাত্র আন্দোলনকারী হাসনা জাহান খুশবু জানান, সদর থানায় তিনি একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেখানে ৭৩ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু অন্যতম আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আবার যে দুএকজন গ্রেফতার হচ্ছেন তারাও ছাড়া পাচ্ছেন।
তার অভিযোগ, এখনো মামলার আসামীরা বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি ও বাজে মন্তব্য করছে। মামলা করে নিরাপত্তা নেই।
চুয়াডাঙ্গা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক বলেন, যারা প্রকৃত আসামি তাদের আমরা দ্রুত বিচার চাই। যে সকল আওয়ামী লীগের নেতাদের নামে মামলা হয়েছে তাদের গ্রেফতার চাই এবং বিচার চাই। অপরাধ করেনি এমন কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য প্রশাসনকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের ভিতরে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট থাকায় সুযোগ পাচ্ছে আসামীরা। মামলার বাদিদের কিছু হলে তার দায়ভার নিতে হবে প্রশাসনকে।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, মামলার আসামিদের ধরার সব প্রক্রিয়া চলমান আছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতার করে স্বাক্ষ্যপ্রমাণসহ আদালতে সোপর্দ করাছি।
আসামিদের ধরার জন্য বিভিন্ন মনিটরিং কমিটি আছে তারা পরামর্শ দিচ্ছে। মামলার তদন্ত কাজও চালছে। অচিরেই আদালতে এসব মামলার চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর