ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত বড়িকান্দি গ্রামে অলি মিয়ার বাড়িতে বিয়ের উৎসব চলাকালে পূর্ব শত্রুতার জেরে মনাক মিয়া ও তার সশস্ত্র সন্ত্রাসীবাহিনী হামলা চালায়। এসময় চারজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার তিনদিন পরও অপরাধীরা কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
তবে পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার আতংকে হামলাকারীরা 'পলাতক'। পুরো এলাকা এখন পুরুষশূণ্য হয়ে পড়েছে। তাই তিনদিন ধরে সাড়াশি অভিযান চালিয়েও অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না।
ইতিমধ্যে এ হামলার ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি থমথমে। পুনরায় যে কোনো হামলা মোকাবিলায় ওই বাড়িতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
নবীনগর থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বলেন, 'ঘটনার পর গ্রেপ্তার আতংকে পুরো এলাকা এখন পুরুষশূণ্য। তাই গত তিনরাত গোটা এলাকায় ঘনঘন অভিযান চালিয়েও সন্ত্রাসী মনেক ও তার বাহিনীর কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।'
তবে এলাকাবাসি জানায়, পুনরায় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মনেক ডাকাতের হামলার ভয়ে এলাকায় এখনও চরম ভীতি ও আতংক বিরাজ করছে।
মামলার এজাহার, পুলিশ ও এলাকাবাসির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বড়িকান্দি গ্রামের অলি মিয়ার সৌদি প্রবাসি তৃতীয় পুত্র সাঈফ ইমরানের বিয়ে উপলক্ষে গত সোমবার (২ ফেব্রুয়ারি) ওই বাড়িতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল। কিন্তু বর ইমরান বাড়ি থেকে বের হওয়ার প্রাক্কালে বেলা আনুমানিক ১১ টার দিকে পাশ্ববর্তী নূরজাহানপুর গ্রামের কুখ্যাত সন্ত্রাসী মন্নাফ মিয়া ওরফে মনেক ডাকাতের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীবাহিনী ওই বিয়ে বাড়িতে আচমকা হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় মনেকের নেতৃত্বে তার বাহিনীর ১৫/২০ জন এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে ছুড়ঁতে ওই বাড়িতে ঢোকে। সে সময় গুলিতে বাবা-ছেলেসহ বাড়ির কমপক্ষে ছয়জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ গৃহকর্তা অলি মিয়া (৫০), তার ছোটছেলে আল হাসিব (১৮), বড় ভাই খলিল মিয়া (৬০) ও ভাগ্নে নাফিজ মিয়াকে (২০) আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর