সিরাজগঞ্জে চুরি ও প্রতারণার মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা শেখ এনামুল হককে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. বিল্লাল হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শেখ মোঃ এনামুল হক সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের পাঁচিল গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। তিনি জেলা বিএনপির সহ- দপ্তর সম্পাদক ও জেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ আলম ডেভিড এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শেখ এনামুলের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ছিল। বুধবার আদালতের স্যারেন্ডার দিয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, শেখ মো. এনামুল হক মিশাম অ্যাগ্রো ইন্ডাষ্ট্রি লিমিটেড ও মিশাম ফিডস্ লিমিটেডের মানি অ্যান্ড ব্যাংকিং এ্যাসিসষ্টেন্ড অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে কোম্পানির সাপ্লাইয়ারদের প্রেমেন্টের জন্য প্রায় ১৬ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেন। কিন্তু ওই টাকা সাপ্লাইয়ারদের না দিয়ে শেখ এনামুল আত্মসাৎ করেন। এঘটনায় কোম্পানির পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার স্বাক্ষ্যপ্রদান শেষে ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আদালত তাকে তিন বছরের কারাদন্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি জজ আদালতে আপিল করেন এনামুল। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ২১ জুন জেলা যুগ্ম জজ আদালত নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখেন। ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে আবারও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। বুধবার আদালতে হাজিরা দিতে এলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, একই কোম্পানির দায়ের করা আরও একটি চুরির মামলায় তিন বছরে সাজাপ্রাপ্ত শেখ এনামুল হক। ওই মামলাটির সূত্রে জানা যায়, শেখ মো. এনামুল হক মিশাম অ্যাগ্রো ইন্ডাষ্ট্রি লিমিটেড ও মিশাম ফিডস্ লিমিটেডের মানি অ্যান্ড ব্যাংকিং এ্যাসিসষ্টেন্ড অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল কোম্পানির লেবার বিল ও ট্রাক ভাড়া বাবদ এমডি ও ডিরেক্টর স্বাক্ষরিত ইসলামিয়া ব্যাংক সিরাজগঞ্জ শাখার (অ্যাকাউন্ট নং ২৬৮৩, চেকনং ৮৪১৯৬৬৯ ও অ্যাকাউন্ট নং ৩১১৮ চেক নং ৭৯০৮১৭৬) দুটি চেক তার এনামুলের নামে প্রদান করা হয়। এনামুল চেক দুটি গ্রহন করে স্বাক্ষর পূর্বক ব্যাংক থেকে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মগোপন করে। এ ব্যাপারে কোম্পানির স্টোর অফিসার শাকিল উদ্দিন অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা অভিযোগ এনে (৪০৮ ধারায়) মামলা দায়ের করেন। মামলার সাক্ষ্য প্রদান শেষে ২০১৮ সালের ৩১ মে তাকে তিন বছরের কারাদন্ড ও ১০হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর