শেখ হাসিনার ভাষণের প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে পৌর শহরের জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে ম্যুরাল ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা।
এছাড়াও কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ অফিসকে পাবলিক টয়লেট ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগ করে এ ঘোষণা দেয় তার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জের অন্যতম সমন্বয়কারী আশরাফ আলী সোহান বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসরেরা বাংলাদেশে আবার বিশৃঙ্খলা তৈরি করার পাঁয়তারা করছেন। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করছে। হাসিনা ভারত থেকে বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় কিশোরগঞ্জে আওয়ামী অফিসে পাবলিক টয়লেট লিখে ফ্যাসিবাদ পতনের অর্ধবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়েছে।
আশরাফ আলী সোহান আরো বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদের কোনো ঠাঁই হবে না।’ দেশে ফ্যাসিবাদীদের যা কিছু আছে সেগুলো আমরা ভেঙে দিতে চাই। যেন দেশের কেউ আর এই ফ্যাসিবাদের দিকে অনুপ্রাণিত না হয়।
বিক্ষোভের সময় ছাত্র-জনতা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যেমন— ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ’, ‘জনে জনে খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ ইত্যাদি।
তবে নাম না প্রকাশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক নেতা জানান, ছাত্রলীগের এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার ঘোষণা তাদের ক্ষোভের কারণ। তারা দাবি করেছেন, ফ্যাসিবাদী চিহ্ন ধ্বংস করাই তাদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য।
এটি দ্বিতীয়বার কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলার ঘটনা। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা এই কার্যালয়ে আংশিক ভাঙচুর করেছিল। সে সময় থেকেই এই কার্যালয় পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।
এছাড়া গত ৫ আগস্ট কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়, সদর উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ চত্বর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে স্থাপিত ম্যুরালগুলো আংশিক ভাঙা ও পোড়ানো ছিল। আজ সেগুলো পুরোপুরি গুড়িয়ে দিলো ছাত্র-জনতা।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর