রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের পর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসময় উত্তেজিত জনতা আওয়ামী লীগের সমর্থক সন্দেহে একজনকে গণধোলাই দেয়।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত ১২টার পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, একজনের সাথে ওই ব্যক্তির বাদানুবাদ হয়। পরে উত্তেজিত ছাত্রজনতা তাকে আওয়ামী লীগ সন্দেহে আটক করেন। পরে তাকে মারধর করেন উত্তেজিত জনতা। এসময় কয়েকজন তার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য সেখান থেকে অনত্র সরিয়ে নিয়ে আসেন। এরপর তার মোবাইল ফোন চেক করে দেখা যায় তিনি পিরোজপুর জেলা বিএনপির সদস্য।
তার নাম-পরিচয় খুঁজে বের করা একজন জানান, নটরডেম কলেজের অধ্যাপক মিজানুর রহমান নিশ্চিত করেছেন তিনি বিএনপির কর্মী। এরপর তার পকেট থেকে পড়ে যাওয়া মোবাইলের সন্ধান পাওয়া যায়। তার ফেসবুক আইডির বায়ো দেখে এর সত্যতা মেলে। তার নাম মো. রিপন। তিনি পিরোজপুর জেলা বিএনপির ৩৮ নম্বর সদস্য।
এর আগে, রাত ৮টা থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা। পরে রাত সাড়ে ১০টার পর দুটি বুলডোজার নিয়ে আসা হয়। এগুলো দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভেঙে ফেলা হচ্চে।
এসময় ৩২ নম্বরের পাশে থাকা আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। একই সাথে ধানমন্ডির ৫ নম্বর রোডে অবস্থিত শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও আগুন দেয় ছাত্রজনতা।
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর