![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
হুংকার দিয়ে টাকা আদায় করা ও সাধারণ মানুষের মুখে মুখে তার ‘ঘুষের কারবারের’ অভিযোগ সংক্রান্ত নানা মুখরোচক গল্প উঠে আসা টেকনাফ থানার সাব ইন্সপেক্টর (এইআই) বদিউল আলমকে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ওই এসআইকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
এর আগে আমি এগারো বছর চট্টগ্রাম শহরে সিভিলে ধরছি যে পোয়া, ‘এসপি-তেসপি’ এদের কার সাথে কি সম্পর্ক তা আমি ভাল জানি। আমার এসপি ধরে মাসে ৫ থেকে ১০ লাখ। আর আমি ধরি এক কোটি। জামিনের দরকার নেই, আমি তোমাকে ধরবোনা। আমি যদি তোমাকে ধরি, আমার বাপের জন্ম হবোনা। এমন কথাবার্তার এক পর্যায়ে পরশু চট্টগ্রাম যাবো টাকা পয়সা ভাল করে দিও। অনেক টাকা খরচ আছে; ভাই হিসেবে দিও। কয়েকটি অডিওতে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় এভাবে হুংকার দিয়ে টাকা চাওয়ার বিষয়ে বিডি২৪ লাইভে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এছাড়াও আর্থিক সচ্ছল ব্যক্তিদের অপহরণ চক্রের সদস্য ও মাদক কারবারি আখ্যায়িত করে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা আদায়। ‘গ্রেপ্তার বাণিজ্য’র পাশাপাশি পান থেকে চুন খসলেই তার ঘুষ নেওয়া, মাথা চড়া দিয়ে উঠা অপহরণ চক্র ঘিরে তার ‘ঘুষের বাজার’ আরও জমজমাট হয় বলে প্রতিবেদনে উঠে আসে।
প্রতিবেদনে দাগি আসামিদের সাথে সখ্যতা, চোরাকারবারিদের সাথে যোগসাজশ, নিজের হীন স্বার্থ হাসিলের জন্য অপরাধীদের ব্যবহার করে জঘন্য ঘটনা ঘটাতেও তার জুড়ি নেই। মামলা কেলেঙ্কারি, গ্রেফতার বাণিজ্য ও যাকে তাকে ধরে তল্লাশির নামে হয়রানি কিংবা ব্যক্তিগত গাড়ি হাকিয়ে অভিযানের নামে যেকোনো বাড়িতে গিয়ে হানা দেওয়ার পাশাপাশি টেকনাফবাসীর কাছে ওসি প্রদীপের পর মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হলেন জনগণের ঘামঝরা টাকায় পোষিত বদিউল এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, উপপরিদর্শক (এসআই) বদিউলকে টেকনাফ থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। এইসব ঘটনা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর