বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়ার জেরে যশোর শহরের বকুলতলার শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালসহ ভাস্কর্য ৮ নামফলক ভাঙচুর করেছে ছাত্র বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে হাতুড়ি-শাবল ও একটি এক্সকেভেটর শহরের বকুলতলা মোড়ে শেখ মুজিবের ম্যুরালটি ভাঙচুর করে। এসময় তারা আওয়ামী বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
আন্দোলনকারীরা বলেন, এখনো আমাদের ভাইদের রক্তের দাগ শুকায়নি। তারপরও খুনি হাসিনা প্রকাশ্যে ভাষণ দেওয়ার দুঃসাহস দেখায় কীভাবে? তাই আমরা এই বাংলার মাটি থেকে ফ্যাসিবাদী সরকারের রেখে যাওয়া শেকড় উপড়ে ফেলবো।
এর আগে বুধবার রাতে যশোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা পরিষদ, যশোর পৌরসভায় নির্মিত শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও মণিহার এলাকায় বিজয়স্তম্ভের প্রাচীরসহ কমপক্ষে ৮ নামফলক ভাঙচুর করেছেন ছাত্র ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
তবে এই ঘটনার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানান সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক।
বুধবার রাত ১০টার তারা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন। প্রথমে কয়েকজন ছাত্র এসে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি ভেঙে ফেলেন।
১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেলে করে ২৫-৩০ জন যুবককে সেখানে যায়। এরপর তাদের হাতে থাকা লোহার পাইপ, হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন।
এরপর তারা জেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালও ভেঙে ফেলেন। পরে তারা যায় পুরাতন কসবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে উদ্বোধক হিসেবে থাকা শেখ হাসিনার নামফলক ভাঙচুর করেন।
এ সময় তারা যশোর পৌরসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অর্ধেক ভাঙা ভাস্কর্যটিও পুরোপুরি ভেঙে ফেলে দেন। ভেঙে ফেলেন যশোর ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স অফিসের উদ্বোধনী নামফলকও।
পরে একে একে ওই যুবকেরা শহরের অন্তত আটটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে যেখানে শেখ হাসিনার নামফলক ছিল সেসব ভেঙে দেন। মুক্তিযুদ্ধের ‘বিজয়স্তম্ভে’ থাকা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও সেখানকার নামফলক ভাঙা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভাঙচুরকারীরা “নারায়ে তকবির, আল্লাহু আকবার” স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর চালায়।
তাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক নেই। ভাঙচুরের বিষয়ে আমাদের কোনও নির্দেশনা ছিল না।’
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর