![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
বর্তমানে ই-সিগারেট, ভেপ এবং হিটেড টোব্যাকো পণ্যের ব্যবহার তরুণদের মধ্যে বাড়ছে। অনেকেই মনে করেন, ই-সিগারেট প্রচলিত সিগারেটের তুলনায় কম ক্ষতিকর এবং ধূমপান ছাড়ার সহায়ক। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, নিকোটিনযুক্ত ই-সিগারেট আসক্তি বাড়িয়ে তোলে এবং এটি স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ।
ই-সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব
যদিও এর দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যগত প্রভাব এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি, তবে এটি নিশ্চিত যে ই-সিগারেটের উপাদানগুলো বিষাক্ত। এসব রাসায়নিক ফুসফুসের রোগ, হৃদরোগ এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এছাড়া এটি মস্তিষ্কের বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ক্ষেত্রে ভ্রূণের বিকাশেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এমনকি ই-সিগারেট থেকে নির্গত ধোঁয়াও পথচারীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি
আসক্তি সৃষ্টি: ই-সিগারেট ব্যবহার করলে মস্তিষ্কে ডোপামিনের নিঃসরণ বাড়ে, যা নেশার অনুভূতি তৈরি করে এবং আসক্তির ঝুঁকি বাড়ায়।
রক্ত সঞ্চালনে বাধা: ই-সিগারেটের তরল মিশ্রণ গরম হয়ে ফরমালডিহাইড তৈরি করে, যা রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত করতে পারে।
ফুসফুসের ক্ষতি: ই-সিগারেট থেকে নির্গত ফ্রি র্যাডিকেলস ফুসফুসের কোষের জন্য বিষাক্ত। এটি ব্রঙ্কাইটিস ও শ্বাসজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
হৃদরোগের ঝুঁকি: ই-সিগারেট ব্যবহারে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং আকস্মিক কার্ডিয়াক ডেথের ঝুঁকি বেড়ে যায়। দ্বৈতভাবে সিগারেট ও ই-সিগারেট ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকি ৫০০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
ব্যাটারি বিস্ফোরণের ঝুঁকি: ই-সিগারেটে ব্যবহৃত ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হয়ে বিস্ফোরিত হতে পারে, যা মারাত্মক শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বের ১২১টি দেশ ই-সিগারেট নিষিদ্ধ বা নিয়ন্ত্রিত করেছে, যার মধ্যে ৩৯টি দেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ভারতের মতো দেশগুলো ই-সিগারেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে।
করণীয়
ই-সিগারেট যে স্বাস্থ্যকর বিকল্প নয়, বরং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে, সে বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেটের ব্যবহার রোধে প্রয়োজন কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর