![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেছেন, স্বৈরাচারের অন্যতম দোসর জাতীয় পার্টির মহাসচিব কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু ছিলেন ফ্যাসিস্টের ১৫ বছরের অন্যতম সহযোগী।
হাজার হাজার মানুষকে গুম, খুন, হত্যা করে বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেয়া, আয়না ঘরে বন্দি করেছেন, বনবাসে পাঠিয়েছেন, পাচার করেছেন, নির্মমভাবে অত্যাচার করে হত্যা করার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার যতটুকু দায় রয়েছে, মুজিবুল হক চুন্নুরও ততটুকু দায় রয়েছে।
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অন্যতম সহযোগী চুন্নুর বিরুদ্ধেও কিশোরগঞ্জের ছাত্র সমাজ অবিলম্বে ব্যবস্থা নিবে। সে যে স্পর্ধা দেখাচ্ছে, সে যে মাঠে আসতে চাচ্ছে, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই তাকে ছাত্র সমাজ রুখে দিবে।
শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দিল্লিতে বসে আপনি যদি কোনো ধরনের চক্রান্ত করেন, ষড়যন্ত্র করেন তাহলে আপনি ইতোমধ্যে লক্ষ্য করেছেন এই তরুণ বিপ্লবীরা ঘুমিয়ে যায় নাই। আপনি যে স্পর্ধা দেখিয়েছেন ছাত্রলীগ, যুবলীগের গুন্ডা বাহিনী তারা দুই হাজার ছাত্র জনতাকে শহীদ করার পরও ন্যূনতম তাদের ভ্রূক্ষেপ নেই, তাদের কোনো অনুশোচনা নেই।
আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, যাদের হাতে দুই হাজার ছাত্র জনতার রক্ত লেগে আছে, যারা ছাত্র জনতাকে পঙ্গু করেছে, নিঃস্ব করেছে তাদের আওয়ামী লীগের ব্যানারে কোনো রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। কিশোরগঞ্জেও আওয়ামী লীগের ব্যানারে কোনো রাজনীতি চলবে না। যারাই স্পর্ধা দেখাবে আমরা তাদের প্রতিহত করবো।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন নবগঠিত কমিটির সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্স, মুখ্য সংগঠক শরিফুল হক জয়, মুখপাত্র সাব্বিরুল হক তন্ময়, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান রনি, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ইয়াজ ইবনে জসীম, যুগ্ম সদস্য সচিব আদিফুর রহমান, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক রহমত উল্লাহ চৌধুরী হাসিন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় প্রকল্পের নামে শত শত কোটি টাকা লুটপাট করেছে ফ্যাসিস্টরা। এলজিইডি, রোডস এন্ড হাইওয়ে, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীরা টাকার পাহাড় গড়েছে। আন্দোলনে নিহত ও আহতদের নিয়ে মামলা বাণিজ্য হয়েছে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রকৃত পক্ষে যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হবে।
তারা আরো বলেন, ৫ আগস্টের পর কারা বাসস্ট্যান্ড দখল করছে তা কি আমরা জানি না। যতদিন পর্যন্ত দেশটাকে সুন্দর করতে না পারি ততদিন পর্যন্ত থাকব। আমরা ক্ষমতার জন্য এখানে আসিনি। চাকরির বাজারও দখল করে রেখেছে। মন্ত্রীর ছেলে মন্ত্রী হবে এমন বাংলাদেশ আমরা চাই না।
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ৩২১ সদস্য বিশিষ্ট কিশোরগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেন। এতে ইকরাম হোসেনকে আহ্বায়ক ও ফয়সাল প্রিন্সকে সদস্য সচিব করা হয়।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর