![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. তারিকুল ইসলাম তারেকের বিরুদ্ধে সাংবাদিক মো. শাহজাহান মিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও অপমান করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে অভিযোগের বিষয়টি স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে পারলে তাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ভুক্তভোগী সাংবাদিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারি ১১:৩০ টার দিকে সাংবাদিক শাহজাহান মিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার তারিকুল ইসলাম তারেক-এর সঙ্গে শিশুদের টিকা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলেন। তিনি জানতে চান, টিকা আছে কিনা। ডাক্তার তারেক জানান, স্বল্প পরিমাণে টিকা রয়েছে এবং তিনি শিশুর অভিভাবককে পাঠানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছে শিশুর অভিভাবক জানতে পারেন, সেখানে কোনো টিকা নেই।
এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে সাংবাদিক শাহজাহান মিয়া ডাক্তার তারেককে ফোন করলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে দ্বিতীয়বার ফোন করলে ডাক্তার তারেক ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, "তুই আমাকে আবারো ফোন দিছিস কেন? তুই জানিস না আমি তোর ফোন কেটে দিয়েছি?" এরপর তিনি উচ্চ স্বরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। শাহজাহান মিয়া সাংবাদিকতার পরিচয় দেওয়ার পরও ডাক্তার তারেক তাকে অবজ্ঞাসূচক মন্তব্য করেন এবং বলেন, "সাংবাদিক হয়েছিস তো কি হয়েছে? তোরা সাংবাদিকেরা কি হয়েছিস?"
এ ঘটনায় অপমানিত হয়ে সাংবাদিক শাহজাহান মিয়া বিষয়টি সুন্দরগঞ্জ সাংবাদিক ক্লাবের এডহক কমিটিকে জানান এবং তাদের পরামর্শক্রমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এ প্রসঙ্গে মেডিকেল অফিসার ডা. তারিকুল ইসলাম তারেক জানান, আমি সারারাত নাইট ডিউটি করেছি। প্রথমে সাংবাদিক শাজাহান সাহেব আমাকে ফোন দেন, এবং আমি ফোনটি রিসিভ করে তিনি যা জানতে চেয়েছিলেন, তা সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলি। পরে, যখন তিনি আবার ফোন দেন, আমি সেটি কেটে দিই। এরপর, আবার ফোন আসার পর আমি কিছুটা বিরক্ত হয়ে তার সাথে রাগান্বিতভাবে কথা বলি এবং ফোনটি কেটে দিই। বিষয়টি এর বেশি কিছু ছিল না বলেও ডাক্তার তারেক দাবি করেন।
এদিকে, সাংবাদিকের সঙ্গে এমন অশোভন আচরণের ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
সুন্দরগঞ্জ সাংবাদিক ক্লাবের এডহক কমিটির আহবায়ক নজরুল ইসলাম ঘটনাটির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক অতিদ্রুত অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দিবাকর বাসক বলেন, "আমি বিষয়টি শুনেছি, তবে এখনো অভিযোগটি দেখিনি। প্রথমে অভিযোগটি পর্যালোচনা করি, তারপর এ বিষয়ে মন্তব্য করা সম্ভব হবে।"
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
শাকিল/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর