
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি এক সাথে চালাতে হবে।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্বৈরাচার খুনি শেখ হাসিনা, তার দোসর ও অপরাধীদের বিচার করে তার পর নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরের মধ্যে কোনো নির্বাচন হয়নি, নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। যা বিচারের নামে জুডিশিয়াল কিলিং ছাড়া আর কিছুই না। শেখ হাসিনা দেশকে ধ্বংস করে হাজার টাকা লুট করে শেষে গণ বিক্ষোভের মুখে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
ভারতের আশ্রয়ে থেকে যা খুসী তা বলে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। জামায়াতের মতিয়র রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদসহ ১৬৯১ জনকে হত্যা, ৬শ জনকে অন্ধ এবং ২০ হাজারের অধিক ছাত্র-জনতাকে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এক সময় বিশ্বের কোথাও আমাদের মর্যাদা ও সম্মান ছিল না।
কিন্তু ইসলাম আমাদের সম্মানিত করেছে,বীরের জাতিতে পরিণত করেছে, ইসলাম আমাদের শাসক জাতিতে পরিনত করেছে। ইসলাম আমাদের গৌরান্বিত এবং মহিমান্বিত করেছে। তাই ইসলামের যে সৌন্দর্য এটাই বাংলাদেশের স্বপ্ন। শনিবার সকাল ১০ টায় নেত্রকোনার ঐতিহাসিক মোক্তার পাড়া মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথি বলেন।
স্মরণকালের বিশাল এই কর্মী সম্মেলনে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা ছাদেক আহমাদ হারিছের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও ময়মনসিংহ অঞ্চল পরিচালক ড. ছামিউল হক ফারুকী, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম ভ্ইুয়া, নেত্রকোনা জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা এনামুল হক, ঢাকা তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. মুফতি আবু ইউছূফ খান, জাতীয় হিন্দু মহাজোট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুবীর চন্দ্র সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন ফকির, কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ রমজান আলী, জামালপুর জেলা জামায়াতের মাওলানা আব্দুস সাত্তার, জাতীয় নাগরিক কমিটির নির্বাহী সদস্য ফাহিম রহামান খান পাঠান প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘দুর্নীতি মুক্ত থাকতে হলে একটি আদর্শ থাকা দরকার। আর সেই আদর্শ লালন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। মুক্ত, স্বাধীন পরিবেশে এই বিশাল সমাবেশে জেলার ১০ উপজেলা থেকে কর্মী, সমর্থক ও নানান ধর্মের ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে কানায় কানায় বিশাল মাঠ পূর্ণ হয়ে যায়।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর