![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমে স্থলবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সীমান্ত সড়ক ও স্থল বন্দরের সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে এ কথা বলেন তিনি।
ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, 'সীমান্ত সড়ক এবং স্থলবন্দর নির্মাণের সম্ভাব্য জায়গা পরিদর্শন করেছি। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এখানকার সম্ভাবনা যাচাই করা হচ্ছে। মিয়ানমারে যাই হোক না কেন, রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সেই বিবেচনায় ঘুমধুমে স্থলবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে'।
উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে নৌপথের চেয়ে স্থলপথ বেশি সুবিধাজনক। এশিয়ান ট্রান্সরোডের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে। বর্তমানে টেকনাফে মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের একটি বন্দর রয়েছে, তবে ঘুমধুমে স্থলবন্দর নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে বাণিজ্যে কিছুটা স্থবিরতা এসেছে, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। ভবিষ্যতের জন্য একটি পরিকল্পনা করে রাখতে চাই, যাতে এখানে একটি স্থলবন্দর গড়ে তোলা যায়। টেকনাফ বন্দরটিকে স্থলবন্দর বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি স্থলবন্দর নয়, বরং এটি নৌবন্দরে রূপ নিতে পারে কিংবা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে আসতে পারে।
পরিদর্শনে উপদেষ্টা ছাড়াও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মানজারুল মান্নান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুল্লাহ ইয়ামিন, ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফারুক হোসেন খানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় এর সর্বশেষ খবর