![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
হাদিস শরিফে দোয়াকে ইবাদতের মগজ আখ্যায়িত করা হয়েছে। দোয়া কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহর ওলি হওয়া জরুরি নয়।
যেকোনো পাপী বান্দার দোয়াও মহান আল্লাহ কবুল করেন। আল্লাহর রাসূল সা. যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে দোয়ায় মত্ত হয়ে যেতেন।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমার কাছে আমার বান্দা আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে (তখন বলে দাও যে), নিশ্চয়ই আমি তাদের কাছে। প্রার্থনাকারী যখন আমাকে ডাকে, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিই।
সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় ও ঈমান আনয়ন করে। আশা করা যায়, তারা সফলকাম হবে।’ (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৮৬)
দোয়া কবুলের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। এতে করে আল্লাহ তায়ালা সহজেই দোয়া কবুল করবেন বলে আশা করা যায়।
একনিষ্ঠ মনে দোয়া করা
একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর তাদেরকে কেবল এ নির্দেশই প্রদান করা হয়েছিল যে, তারা যেন আল্লাহ্র ইবাদত করে তাঁরই জন্য দ্বীনকে একনিষ্ঠ করে। (সূরা বাইয়্যেনা, আয়াত: ০৫)।
আল্লাহর গুণাবলীর মাধ্যমে দোয়া করা
আল্লাহর সুন্দর নাম ও গুণাবলী দিয়ে তাঁকে ডাকা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম। অতএব তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাক; আর যারা তাঁর নাম বিকৃত করে তাদেরকে বর্জন কর। (সূরা আরাফ, আয়াত : ১৮০)
আল্লাহর যথোপযুক্ত প্রশংসা
দোয়া করার পূর্বে আল্লাহর যথোপযুক্ত প্রশংসা করা। হজরত ফাযালা বিন উবায়দ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপবিষ্ট ছিলেন। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে নামাজ আদায় করল, এরপর দোয়া করল: ‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মাফ করে দাও, তুমি আমাকে রহম কর’।
তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: হে নামাজি! তুমি বেশ তাড়াহুড়া করে ফেললে। তুমি নামাজ আদায় করে যখন বসবে তখন আগে আল্লাহর যথোপযুক্ত প্রশংসা করবে, আমার ওপর দরুদ পড়বে। এরপর আল্লাহর কাছে দোয়অ করবে। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৭৬)
দরুদ পড়া
দোয়ার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর দরুদ পড়া উচিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর দরুদ না পড়া পর্যন্ত যে কোন দোয়া আটকে থাকে। (আল-মুজাম আল-আওসাত, ১/২২০)
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখা
আল্লাহর প্রতি এই বিশ্বাস রাখা যে, আল্লাহ দোয়া কবুল করবেন এবং মনোযোগ দিয়ে দোয়া করা।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা দোয়া কবুল হওয়ার একীন নিয়ে দোয়া কর। জেনে রাখ, আল্লাহ তায়ালা অবহেলাকারী ও অমনোযোগী অন্তরের দোয়া কবুল করেন না। (তিরমিজি, হাদিস :৩৪৭৯)
তাড়াহুড়া না করা এবং বারবার চাওয়া
আল্লাহ তায়ালার কাছে বারবার চাওয়া। দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণকর যা ইচ্ছা তা চাওয়া যাবে, তবে দোয়ার ফলাফলের জন্য তাড়াহুড়া করা যাবে না।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বান্দার দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল করা হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না বান্দা কোন পাপ নিয়ে কিংবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা নিয়ে দোয়া করে। বান্দার দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল করা হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না বান্দা ফলাফল প্রাপ্তিতে তাড়াহুড়া না করে।
জিজ্ঞেস করা হল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তাড়াহুড়া বলতে কী বুঝাচ্ছেন? তিনি বললেন: বলে যে, আমি দোয়া করেছি, আমি দোয়া করেছি; কিন্তু আমার দোয়া কবুল হতে দেখিনি। তখন সে ব্যক্তি উদ্যম হারিয়ে ফেলে এবং দোয়া ছেড়ে দেয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৩৪০)
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর