![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
গাইবান্ধা পৌর শহরের ২নং রেলগেট সংলগ্ন উদয়ন প্রিন্টিং প্রেসে সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সুইপার পট্টির একদল দাঙ্গাবাজ এ ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মোঃ আব্দুর রউফের ছেলে লিমন মিয়া (২৬)।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে এ ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে এক প্রতিবাদী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা কার ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাভেদ হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কার ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু মিয়া, জেলা কার ও মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সভাপতি রবিন সেনসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা।
বক্তারা বলেন, সুইপার পট্টিতে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও সেবনের অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে। এর ফলে চুরি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী হামলা বেড়েই চলেছে। দ্রুত প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে ব্যবসায়ীরা আরও বিপদের মুখে পড়বেন।
বক্তারা আরো দাবী করে বলেন, গাইবান্ধা মিষ্টান্ন ভান্ডারের পরিচালক রাশেদের উপর সন্ত্রাসীদের হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে এই সন্ত্রাসী হামলার যোগ সূত্র রয়েছে। তারা দ্রুত এই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটিয়ে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি করেন।
ভুক্তভোগী আব্দুর রউফ জানান, অভিযুক্তরা রেলওয়ের জায়গায় বসবাস করছে এবং তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশে একটি রান্নাঘর তৈরি করেছে। রান্নার ধোঁয়ায় মেশিন নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় রান্নাঘরটি সরানোর অনুরোধ করেন তিনি।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে অভিযুক্তরা তাঁর প্রেসে হামলা চালিয়ে থাই গ্লাস ভাঙচুর করে, যার ফলে প্রায় ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। হামলার অর্ধঘণ্টা পর বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে, অভিযুক্ত রাহুল বাসফোর, সুন্দরী রানী বাসফোরসহ ৮-১০ জন দলবদ্ধ হয়ে লাঠি, লোহার রড, ছোরা ও কুড়াল নিয়ে প্রেসে প্রবেশ করে। তারা অকথ্য গালিগালাজ করলে লিমন মিয়া বাধা দেন। একপর্যায়ে, হামলাকারীরা তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে।
হামলাকারীরা শুধু মারধরই করেনি, বরং প্রেসের ক্যাশ ড্রয়ার ভেঙে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লুট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া, কালিসহ অন্যান্য মালামাল ভাঙচুর করে প্রায় ১ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম জানান, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্তে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর