![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
নবীগঞ্জের সদরঘাট এলাকায় একটি নতুন সেফটি ট্যাংকের ভিতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আব্দুল মুহিত (৫৩) নামে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে নবীগঞ্জ ফায়ারসার্ভিসের সদস্যরা। সোমবার ভোরে ৯৯৯ এ খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই লোককে উদ্ধার করে তার ভাইয়ের কাছে সমঝিয়ে দেয়। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে পরিবারের সূত্রে জানাগেছে।
সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কায়স্থগ্রামের মৃত সফিক মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক আব্দুল মুহিত (৫৩)কে অজ্ঞাতনামা একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে ক্ষতবিক্ষত করে। তাদের এলোপাতাড়ি হামলায় জীবন বাঁচাতে গিয়ে দৌড়ে পাশের গ্রামের সদরঘাট দক্ষিণ পাড়ার ইকবাল হোসেনের বাড়ীর নতুন নির্মিত সেফটি ট্যাংকিতে পড়ে যায়।
এ সময় বিকট শব্দে ইকবাল হোসেনসহ আশপাশের ছুটে আসলে এ দৃশ্য দেখে আব্দুল মুহিতকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে তিনি প্রশাসনের সাহায্য ব্যতীত ট্যাংকি থেকে উঠবেন না বলেও জানান। পরে স্থানীয়রা তার পরিবারের লোকজনকে এবং ৯৯৯ নাম্বারে কল দিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলে নবীগঞ্জের দমকল বাহিনী রবিবার ভোর ৬ টার দিকে ঘটনাস্থলে যান। পরে দমকল বাহিনীর সদস্যরা ট্যাংকির ভিতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মুহিত’কে উদ্ধার করে তার পরিবারের লোকজনের কাছে সমঝিয়ে দেন। পরিবারের লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে গুরুতর আহত আব্দুল মুহিতের ভাই হাবিবুর রহমান জানান, শনিবার রাত ৯ টার দিকে পূর্ব দেবপাড়া গ্রামের মাদক সম্রাট মায়েদ মিয়া ফোন করে আব্দুল মুহিতকে তার বাড়িতে নেয়। সেখানে যাওয়ার পর মায়েদ মিয়া, তার স্ত্রী সাজনা বেগম, নুরুল আমীন, সাইফুরসহ ৪/৫ জনের একদল লোক ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুহিতের উপর হামলা করেন। এতে মুহিতের হাতে, পায়ে, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। এর মধ্যে ৪টি আঙুল কর্তন, দু’টি হাত ভাঙ্গা ও ৭টি দাঁত ভাঙ্গা বলেও জানান আহতের ভাই। বর্তমানের সে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।
ট্যাংকির মালিক ইকবাল হোসেন বলেন, প্রায় দু’বছর আগে বাড়ির ওই সেফটি ট্যাংকি নির্মাণ করা হয়েছিল। পারিবারিক বিরোধের কারণে ঘরে তালা লাগানো হয়নি। কিছু বাঁশ,ঢাল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। শনিবার গভীর রাতে আব্দুল মুহিত কিভাবে ওই টেংকিতে পড়লো আমাদের জানানেই। তবে বিকট শব্দে ঘুম থেকে উঠে ঘটনাটি দেখে স্থানীয় লোকজনসহ তার পরিবারের লোকজন এবং ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহযোগিতার অনুরোধ করি। পরে নবীগঞ্জ থেকে দমকল বাহিনীর একদল সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৬ ফুট গভীরে ট্যাংকির ভিতর থেকে মুহিত কে উদ্ধার করেন।
নবীগঞ্জ ফায়ারসার্ভিস ষ্ট্যাশনের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেই। থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন বলেন, ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর