![BD24LIVE.COM](https://www.bd24live.com/bangla/public/logo-bd24live.png)
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের নেতা অধ্যাপক ড. এ এফ এম সাইফুল ইসলাম কে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) প্রো-ভিসি বানানোর চেষ্টার প্রতিবাদে মশাল-মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তিনি স্বৈরাচারের দোসর সাবেক সচিব ড. নাজমানারার স্বামী। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে যশোর-চৌগাছা সড়কে এ মশাল মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে রাতের ভোটের মূল কারিগর ছিলেন ড. এ এফ এম সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম আরা। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের নেতা এবং ক্রপ বোটানি এন্ড টি প্রোডাকশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর এ এফ এম সাইফুল ইসলাম কে যবিপ্রবির প্রো-ভিসি বানানোর চেষ্টার সংবাদ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরে এর প্রতিবাদে মশাল-মিছিল বের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মশাল-মিছিলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে যবিপ্রবির গণিত বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সুমন আলী বলেন, আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি ড. এ এফ এম সাইফুল ইসলামকে কে প্রো-ভিসি হিসেবে নিয়োগের চেষ্টা করা হচ্ছে। সে একজন স্বৈরাচারের দোসর। স্বৈরাচারের দোসরকে চেয়ারে বসানোর জন্য আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের আন্দোলন করিনি। তাকে প্রো-ভিসি বানানো হলে জুলাই বিপ্লবের দুই হাজার শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা হবে। আমরা এটা মেনে নিবো না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাবীবুর রহমান ইমরান বলেন, মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তকে তীব্র নিন্দা জানাই। সরকারকে অনতিবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসতে হবে। ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে রাতের ভোটের মূল কারিগর ছিলেন। যার পুরস্কার স্বরূপ পরবর্তীতে তাকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিছু কুচক্রী মহল বাংলাদেশ কে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের দোসর ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের স্বামী ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ এফ এম সাইফুল ইসলামকে প্রোভিসি করার চেষ্টা করতেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
এই মুহুর্তে বাংলাদেশে ডেভিল হান্ট কর্মসূচি চলছে, কেউ কোন ডেভিলকে এই ক্যাম্পাসে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করে তবে ছাত্র সমাজ তাদের মেনে নিবে না। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বৈরাচারের দোসর ইকবাল কবির জাহিদের মতো নতুন কোনো সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে দিব না।
উল্লেখ্য, আওয়ামী শাসন আমলে ২০১২ সালে স্ত্রী ড. নাজমানারা খানুমের লবিংয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন ড. সাইফুল। তিনি সিকৃবিতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গনতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের নেতা ছিলেন। আওয়ামী পন্থী শিক্ষকদের প্যানেল থেকে দুই দুইবার সিকৃবির সিন্ডিকেট সদস্য (২০১৪-১৬ ও ২০২২-২৪ সাল) নির্বাচিত হন তিনি। এছাড়াও ২০১৫-২০১৭ সালে কৃষি অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন ড. সাইফুল।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর