আসামীদের গ্রেফতার ও খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী বাজারের  মহাসড়কে উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, "আমার ভাই কবরে,খুনি কেনো বাহিরে" প্রশাসন জবাব চাই। এসময় বক্তব্য রাখেন রুবেল আহম্মেদ, ইউপি সদস্য হযরত আলী, রবিউল ইসলামসহ প্রমুখ।

উল্লেখ্য যে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শাহাদত হোসেন (৩২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে পুলিশসহ উভয়পক্ষের আহত হয়েছেন ১৭ জন। এ ঘটনায় আজিজুল হক নামের একজন বাদী হয়ে ৪৩ জনকে আসামী ও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত করে রৌমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার ৫দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ ৩জন মহিলাকে আটক কলেও বাকি আসামী এখনো নাগালের বাহিরে রয়েছে। এদিকে দায়িত্বে অবহেলা করায় দুই এসআই, ও দুই পুলিশ কনস্টেবল সহ চার জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

পুলিশ, স্থানীয় ও নিহত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর গ্রামে আবুল হোসেন ও নুর ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে আদালত ও থানায় পাল্টাপাল্টি একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনার দিন (১১ ফেব্রুয়ারি) বিরোধপূর্ণ জমিতে আবুল হোসেনের পক্ষে শতাধিক ভাড়াটিয়াল বাহিনী নিয়ে সরিষা তুলে নিয়ে যাচ্ছিল।

এ নিয়ে নুর ইসলামের পক্ষের লোক ৯৯৯ এ ফোন দিলে। রৌমারী থানার পুলিশ সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এসআই খুকিন, কনস্টেবল সোহেল ও রাশেদ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় পুলিশের সামনে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে আহতরা রৌমারী হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং কয়েকজন কে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বুধবার সকালের দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাদত হোসেন নামে একজন মারা যান।

নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় আবারও উত্তেজনা বিরাজ করে। পড়ে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী পুলিশ সুপার, রৌমারী ও রাজিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বলেন, একটি  হত্যা মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩জন মহিলাকে আটক করা হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাকি আসামীদের আটকের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সালাউদ্দিন/সাএ