
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় তারুণ্যের উৎসবকে রাঙ্গিয়ে তুলতে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম আবু দারদা যখন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন, তারুণ্যের উৎসব ছিল পাংশায় এক নতুন দিগন্তের মতন।
তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে ফুটবল প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন ইভেন্টে পরিচালিত হয়েছিল। এমন গোছানো অনুষ্ঠান সমূহের মধ্যেই আজ রবিবার চোখে পড়ে ভিন্ন এক উলটা রথের। পাংশা উপজেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা (ক্রীড়া,সাংস্কৃতিক, বিষয় ভিত্তিক কুইজ ও কাবিং) ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়।
পাংশা সরকারি জর্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায় সেখানে গিয়ে দেখা যায় নানা অব্যবস্থাপনা, সেই কোন স্টেজ, শিক্ষকেরা বসতে না পেরে ঘুরছে মাঠের মধ্যে দিয়ে কেউ কেউ ক্ষোভ ঝেড়ে চলে যাচ্ছেন, আবার কয়েকজন শিক্ষক দল বেধে চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছেন আর বলছেন এ যেন যেমন খুশি তেমন অনুষ্ঠান নেই কোন শৃংঘলা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাইক খুলে ছায়া যুক্ত স্থানে নিয়ে টানাতে ব্যস্ত কয়েকজন, ২ জন প্রধান শিক্ষক স্কুল থেকে চেয়ার টেবিল নিয়ে আসছেন, ওই টেবিল টানা শিক্ষক বলেন দেখেন ভাই এটা কোন অনুষ্ঠান আমি চেয়ার টেবিল টেনে নিয়ে আসছি, আমাদের স্যারদের অযোগ্যতা এমন হচ্ছে সত্যি এটা উপজেলার কোন অনুষ্ঠানের মধ্যেই পরে না।
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ বলেন- আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে অনেক সুন্দর ভাবে এ অনুষ্ঠান করেছি, এখানে এসে আমরা হতভম্ব হয়েছি, আবার এ অনুষ্ঠানের জন্য ইউনিয়ন প্রতি শিক্ষকদের নিকট টাকা চাওয়ায় হয়েছে। এ বিষয়ে মাঠে দায়িত্ব পালনরত উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সৈয়দ মোদাচ্ছের হোসেন এর নিকট এ কর্মসূচির চিঠি চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন কেন আপনাকে চিঠি দিতে হবে এ বিষয়ে আপনি উপজেলা শিক্ষা অফিসার’র সাথে কথা বলেন।
পাংশা সদর ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসার আলমগীর হোসেন তিনিই এ প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে রয়েছেন তিনি বলেন-আমাদের টিও স্যারের বদলি হয়েছে তাই আমরা কিছুটা ব্যস্ত এ জন্য এলোমেলো হয়েছে। এ প্রোগ্রামে সরকারি বরাদ্দ ২২ হাজার টাকা, আমরা কোন ইউনিয়ন থেকে টাকা নেইনি তবে টাকা চাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন এখন আমরা নিজের টাকায় এ প্রোগ্রাম করছি পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়’র সাথে সমন্বয় করে নিব।
উপস্থিত একাধিক প্রধান শিক্ষক বলেন- আমাদের এ টিও স্যার রা এখন ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত, তাদের কথা মত তাদের কাছ থেকে স্কুলের কার্পেট কিনতে হয়, এ ছাড়াও নানা উপকরণও তারাই এখন বিক্রি করছে, ইতি পূর্বে পাংশা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুম থেকে শিক্ষকদের কার্পেট নিতে দেখা গিয়েছে, কোন এ টিও এমন ব্যবসা করছে জানতে চাইলে শিক্ষকরা বলেন আমরা নাম বললে আমাদের জন্য বিপদ আছে, কথায় কথায় শোকজ খেতে হবে।
এ ব্যাপারে পাংশা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মাহবুবুল আলমের মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম আবু দারদা বলেন- বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর