
চট্টগ্রাম নগরের হাজারী গলিতে যৌথবাহিনীর ওপর এসিড নিক্ষেপের মামলায় ডা. কথক দাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামি কথক দাশের উপস্থিতিতে এ রিমান্ড শুনানি হয়।
ডা. কথক দাশ (৪০) একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ। তিনি লায়ন্স দাতব্য চক্ষু হাসপাতালের মাইক্রো, লেজার ও ফ্যাকো সার্জন এবং বাংলাদেশ আই হসপিটালের কনসালটেন্ট। এ ছাড়া সনাতন ধর্মীয় বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। ইসকনের আলোচিত সাবেক সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারী হিসেবেও তিনি পরিচিত।
সনাতন ধর্মাবলম্বী সংগঠন ইসকন নিয়ে পোস্টের জের গত বছরের ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর হাজারী লেইনে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। ইসকনের অনুসারীরা এক দোকানিকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তাকে উদ্ধারে যাওয়া পুলিশ ও সেনাসহ যৌথবাহিনীর সদস্যদের ওপর এসিড নিক্ষেপ করা হয়। এতে সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্যসহ অন্তত ১২ জন আহত হন।
পরে হাজারী লেইনে অভিযান চালিয়ে ৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান মামলা দায়ের করেন। এতে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, ‘হাজারী গলিতে ইসকনকে নিয়ে দেওয়া ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে যৌথবাহিনীর উপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় ডা. কথক দাশের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।’
গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে যুক্তরাজ্যে যাবার জন্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত হলে কথককে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরদিন তাকে চট্টগ্রামে আনা হয়। নগরীর কোতোয়ালী থানায় কথকের বিরুদ্ধে থাকা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের নির্দেশে দুইদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর নগরীর কোতোয়ালী থানায় জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে সনাতনী জাগরণ মঞ্চের সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেছিলেন ফিরোজ নামে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসও।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর