
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় গাড়ির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত লিকুইড পেট্রোলিয়ম গ্যাস (এলপিজি) ফিলিং স্টেশনে অবৈধভাবে রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার রিফিলের অভিযোগ উঠেছে। অধিক মুনাফার আশায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই ঝুঁকিপূর্ণ ও বেআইনি কাজে জড়িয়ে পড়ছেন, যা জননিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে।
গেল রোববার উপজেলার কদমতলী এলাকায় অবস্থিত অরুণ কুমার ঘোষের মালিকানাধীন একটি এলপিজি ফিলিং স্টেশনে ১৫টি খালি সিলিন্ডারে গ্যাস ভরার সময় স্থানীয়দের সহায়তায় ডিলাররা একটি অটোরিকশা আটক করে। এ সময় ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যান এবং তার মুঠোফোন বন্ধ করে রাখেন।
যমুনা গ্যাসের ডিলার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, "এভাবে অবৈধ রিফিলের মাধ্যমে গ্রাহকরা প্রতারিত হচ্ছেন এবং নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ছেন। এই অবৈধ কার্যক্রম রোধে জনগণের সচেতনতা জরুরি।"
অন্য এক ডিলার রাজিবুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে অবৈধ রিফিল বন্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থার দাবি জানান।
রান্নার গ্যাসের প্রতি লিটার ১০৭ টাকার বেশি দামে বিক্রি হলেও গাড়ির গ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৬৭ টাকা ২১ পয়সা। এই পার্থক্য কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ১২ লিটারের সিলিন্ডার ১০০০ টাকায় রিফিল করছেন, যা বাজারমূল্যের তুলনায় প্রায় ৫০০ টাকা কম।
অভিযুক্ত ফিলিং স্টেশনের মালিক অরুণ কুমার ঘোষ এই অভিযোগকে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে বলেন, "বাজারের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ায় ডিলাররা মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।" তবে ফিলিং স্টেশনের কিছু কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে অবৈধ রিফিলের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আকরাম হোসেন জানান, রান্নার গ্যাসে ৭০ শতাংশ কোপেন ও ৩০ শতাংশ ডিউটেন মিশ্রণ থাকে, যেখানে গাড়ির গ্যাসে থাকে ৬০ শতাংশ কোপেন ও ৪০ শতাংশ ডিউটেন। এই অনুপাতের পার্থক্য থাকায় রান্নার গ্যাসে এলপিজি রিফিল করা বিপজ্জনক। সামান্য নড়াচড়াতেও সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর