
ইঁদুর মারার বিষে (রডেন্টিসাইড) মানুষ মারা যেতে পারে, তবে এটি বিষের ধরন, পরিমাণ, ও গ্রহণের উপরে নির্ভর করে। ইঁদুর মারার বিষ মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক, নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো:-
ইঁদুর মারার বিষের ধরন ও প্রভাব
ইঁদুর মারার বিষে অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট বিষ থাকে যেমন ওয়ারফারিন, ব্রোমাডিওলোন, ব্রোডিফাকুম। এগুলো রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করে, যার ফলে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হতে পারে। উচ্চ মাত্রায় এ বিষ গ্রহণ করলে মানুষ মারাত্মক অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে মারা যেতে পারে।
জিংক ফসফাইড
ইঁদুর মারার বিষে থাকা জিংক ফসফাইড পাকস্থলীতে ফসফিন গ্যাস তৈরি করে, যা বিষক্রিয়া ঘটায়। এর ফলে শ্বাসকষ্ট, বমি, খিঁচুনি ও অজ্ঞান হয়ে মৃত্যু ঘটাতে পারে।
স্ট্রাইকাইন বিষ
ইঁদুর মারার বিষে থাকা স্ট্রাইকাইন বিষ স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে ও পেশিতে তীব্র সংকোচন ঘটায়। উচ্চ মাত্রায় গ্রহণ করলে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু ঘটতে পারে।
মানুষ কীভাবে আক্রান্ত হতে পারে?
ভুলবশত খাবারের সঙ্গে মিশে যাওয়া –অনেকে না বুঝে বিষযুক্ত খাবার খেয়ে ফেলতে পারে।
ইচ্ছাকৃত গ্রহণ (আত্মহত্যার প্রচেষ্টা) –কিছু ক্ষেত্রে মানুষ ইঁদুর মারার বিষ আত্মহত্যার জন্য ব্যবহার করে।
দীর্ঘমেয়াদী সংস্পর্শ – নির্দিষ্ট কিছু বিষ দীর্ঘ সময় ধরে গ্রহণ করলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
বিষক্রিয়ার লক্ষণ ও করণীয়
লক্ষণসমূহ:
রক্তক্ষরণ (নাক, মাড়ি বা প্রস্রাবে)
বমি, পেট ব্যথা
শ্বাসকষ্ট
খিঁচুনি বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
করণীয়
দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
অ্যাক্টিভেটেড চারকোল বা ভিটামিন কে (অ্যান্টিডোট) দেওয়া হতে পারে (বিশেষ করে অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট বিষের ক্ষেত্রে)।
পাকস্থলী পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করতে হবে।
ইঁদুর মারার বিষে মানুষ মারা যেতে পারে, তবে এটি বিষের ধরন ও গ্রহণের পরিমাণের উপর নির্ভর করে। সতর্কতা অবলম্বন করা এবং দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর