
অবশেষে লামায় অপহৃত ২৬ শ্রমিককে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। ছাড়া পাওয়া শ্রমিকদের প্রচুর মারধর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তি পাওয়া শ্রমিক মোঃ আইয়ুব আলী, মোঃ ছিদ্দিক ও মোঃ আব্দুল খালেক।
আরাফাত রাবার বাগানের মালিক মোঃ ফোরকান জানান, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কোন অগ্রগতি না দেখে তারা মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের শ্রমিককে ছাড়িয়ে আনে। তার বাগানের ১২ জনকে মুক্ত করতে ৩ লাখ টাকা আর বাকী ৫ বাগানের ১৪ জনকে মুক্ত করতে ৭ লাখ টাকা সহ মোট ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জিম্মিদের বেশি মারধর করা হয়েছে। উদ্ধারের পর তার বাগানের ১২ জনকে এখন কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বাকিরা কক্সবাজার, রামু সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
৬টি রাবার বাগান মালিক আবু বক্কর, নুর আহমদ, এহসান, সোনা মিয়া, হুমায়ন এবং মোঃ ফোরকান জানান মুক্তিপণ দিয়ে তাদের ছাড়াতে হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবানের সবকয়টি উপজেলায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি ও অপহরণের ঘটনা বেড়েছে। এসব এলাকার জনসাধারণ নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত শ্রমিকরা হলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ক্যংগার বিল এলাকার অধিবাসী মো: ফারুক (২৬), মোঃ আইয়ুব আলী (২৬), মোঃ ছিদ্দিক (৪০), মোঃ আব্দুল খালেক (২০), আবদুল মাজেদ (১৭)। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আলিখ্যং এলাকার অধিবাসী মনিরুল ইসলাম (৩০), মোবারক (২৫), মোঃ হারুন (৩০), রমিজ উদ্দিন (৩০), ছৈয়দ নুর (২৮), মোঃ কায়সার (৩৮), মোঃ মনির হোসেন (৩৫), মোঃ ইমরান (১৭)। কক্সবাজার জেলার ইদগড় ইউনিয়নের মঞ্জুর (৩০), আফসার আলী (২৫), খায়রুল আমিন (৩০), আবু বক্কর (২৯), মোঃ আবদুর রাজ্জাক (৩৩) ও মুবিন (২৫)। অপহৃত আরও ৬ জন শ্রমিকের নাম পাওয়া যায় নি।
এরা সকলে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মুরুং ঝিরি এলাকায় অবস্থিত রাবার বাগান মালিক মোঃ ফোরকান আহমেদ (৪৮), নুর মোহাম্মদ (৩২), আহসান উল্লাহ (৩৫), মোঃ হুমায়ুন (৪৫), আজিজুল হক (৩৮) ও আবুল কালাম (২৮) এর রাবার বাগানে রাবার শ্রমিক হিসাবে কর্মরত ছিল।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ২৬ জন শ্রমিককে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তারা বিভিন্ন স্থানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর