
তিস্তা পানি ন্যায্য হিস্যা ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তার ১১ টি পয়েন্টে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে ক্ষোভ ও দাবির পদযাত্রা করেছেন 'তিস্তা রক্ষা আন্দোলন কমিটি'।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১ টায় তিস্তার উত্তরপর্ব থেকে রংপুরের কাউনিয়া পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার এলাকায় এই পদযাত্রা করা হয়েছে। নেতৃত্ব দিয়েছেন তিস্তা রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু।
এই পদযাত্রায় অংশ নেন, শিশু-কিশোর, যুবক, বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, চাষি, দিনমজুর চাকুরিজীবীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
এসময় ‘জাগো বাগে কোনটে সবাই, দাবী মোদের একটাই তিস্তায় পানি চাই’ স্লোগানে মুখরিত হয় তিস্তা অববাহিকায়।
এই স্লোগান তোলা হয়৷ নীলফামারীর ডিমলার ছাতনাই থেকে শুরু করে রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম হয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পর্যন্ত তিস্তা অববাহিকার দুই পারের ২৩০ কিলোমিটার এলাকায়।
১১টি স্পটে এই কর্মসূচি পালন করেন তিস্তা পারের মানুষ।
পদযাত্রায় অংশ নেয়া মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের পানি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। পানি নেই তিস্তা এখন মরা খাল। তিস্তার চারদিকে এখন মরুভূমির মতো অবস্থা। এই ক্ষোভ থেকে আমি আমরা এই সূচিতে অংশ নিয়েছি।
কিশোর আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি বাবার কাছে শুনেছি আমাদের অনেক জমি জমা ছিল, নদী সব ভেঙ্গে নিয়েছে। এখন আমাদের কিছুই নাই।
আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা এবং মহাপরিকল্পনার জন্য একদশক ধরে তিস্তার পাড়ে মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করছে।
আমাদের এ আন্দোলন স্মরণকালের। আমরা চাই ভারতের একতরফা নীতির মাধ্যমে তিস্তা নদীকে মরা খালি পরিণত করে উত্তরের ২ কোটি মানুষের জীবন এবং জীবিকাকে হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে, ভারতের বিরুদ্ধে তার তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তুলতে। একই সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন মহাপরিকল্পনার কাজ দ্রুত শুরু করে।
দিনব্যাপী কর্মসূচিতে দুপুরে নদীতে প্লাকার্ড, গান কবিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, তিস্তার ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারানো নিয়ে বাস্তব অভিনয়, খেলাধুলা এবং স্মৃতিচারণের আয়োজন চলমান রয়েছে।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর