
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এছাড়াও তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছরে ফ্যাসিবাদ লড়াইয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন অনেক পরিপক্ব। এটা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয় আমাদের ও সবার সমর্থনে।
এ সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে জাতীয় নির্বাচন দেওয়া। দেশের মালিকানা দেশের জনগণকে ফিরিয়ে দিন। সংস্কারের কথা বলে কালক্ষেপণ করা বিএনপি কখনোও মেনে নেবে না। নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা তাদের সেই দায়িত্ব কেউ দেয়নি।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হলে,জনগণকে জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না দিলে আপনারা গ্রহণযোগ্যতা হারাবেন। আর গ্রহণযোগ্যতা হারালে আপনাদের অবস্থা হাসিনার মতোই হবে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নোয়াখালী জেলা বিএনপির উদ্যাগে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন ও দ্রুততম সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহাবুব আলমগীর আলোর সভাপতিত্বে সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ আজাদের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যা বুলু, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক ও ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, চট্রগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ (ভিপি হারুন) এবং ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, শামীমা বরকত বুলুসহ নোয়াখালী জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার বিএনপির অঙ্গসংগঠনের ৫০ হাজার হাজার নেতাকর্মীসহ সমর্থকরা।
সকাল থেকে জেলা বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, মহিলা দলেসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সমাবেশস্থলে হাজার হাজার মানুষের লোকারণ্য হয়ে উঠে। পরে সমাবেশটি মহাসমাবেশে পরিণত হয়।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর