
পুকুর পাড়ে ছোট ছোট সিপজাল নিয়ে বসে আছে মাছ শিকারিরা, মাছ ধরার মনোরম দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় উৎসুক জনতা। সবাই অপেক্ষায়, কখন আসবে মাছ ধরার নির্দেশনা।
পুকুরের মালিক ২২০০ টাকা টিকেটে ৬০টি সিপজাল ফেলার অনুমতি দেয়, এতে তার আয় হয় ১লাখ ৩২হাজার টাকা। লটারির মাধ্যমে প্রত্যেককে জাল ফেলার স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়। পুকুরের চারপাশে ও মাঝ বরাবর মাচা বানিয়ে দেয়া হয়, দাঁড়িয়ে মাছ শিকারের জন্য।
রেডি বলার সাথে সাথেই জাল ফেলানো শুরু, সংকেত দেওয়া মাত্রই চারদিকে জাল টানা শুরু হয়। মাছের ধরার মনোরম দৃশ্য দেখে অবাক দর্শনার্থী ও মাছ শিকারিরা, প্রত্যেকের জালেই উঠেছে মাছ।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার আভুঙ্গী চরপাড়ার আরশেদ আলীর পুকুরে অভিনব মাছ শিকারের আয়োজন করা হয়।
পুকুর মালিক আরশেদ আলী বলেন, দেখতে আনন্দ লাগছে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে সবাই মাছ ধরছে। এতে মাছ ধরার জন্য খরচ নেই। এমনিতে মাছ ধরে বাজারে মাছ বিক্রি করতে মৎস্যজীবীদের শতকরা ২০ টাকা এবং আড়ৎদারদের টাকা দিতে হয়, তাই এই পদ্ধতি অবলম্বন করেছি। এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মাছ ধরার পাশাপাশি মানুষ মাছ ধরার প্রতিযোগিতা উপভোগ করছে।
মহিষমারা মৎস্য শিকারি সমিতির সভাপতি রইস উদ্দিন বলেন, এখন বিলগুলোতে চায়না জালের কারণে মাছ পাওয়া যায় না, তাই সকলে মিলে পুকুরে মাছ ধরার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সরকারের কাছে অনুরোধ অতি সত্বর চায়না জাল বন্ধ করুন।
গারোবাজারের মৎস্য শিকারি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এইভাবে মাছ শিকার করলে পুকুরের মালিক অনেক লাভবান হয়। পুকুরের মালিক আগেই নগদ টাকা হাতে পেয়ে যায়।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর