
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে মাঠে নামার আগে ডার্ক হর্স উপাধি পেয়েছিল আফগানিস্তান। তবে টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো করতে পারেননি রশিদ-নবিরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১০৭ রানে হেরেছে আফগানরা।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আগে ব্যাট করে আফগানিস্তানকে ৩১৬ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে ৩৯ বল হাতে থাকতে ২০৮ রানে অলআউট আফগানিস্তান। এতে ১০৭ রানের বড় জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে শুরুটা ভালো করতে পারেননি আফগানিস্তান। ১৪ বলে ১০ রান করে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ইনিংস বড় করতে পারেননি আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানও। ২৯ বলে ১৭ রান করেন তিনি।
তিনে ব্যাট করতে নেমে ৩২ বলে ১৬ রান করে রান আউট হন সাদিকুল্লাহ আতাল। ৪ বলে ০ রান করে হাশমতুল্লাহ শাহিদী আউট হলে দলীয় ৫০ রানে ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। তবে আজমতুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন রহমত শাহ।
কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি আজমতুল্লাহ। ২৭ বলে ১৮ রান করে ফেরেন এই আফগান অলরাউন্ডার। ১৭ বলে ৮ রান করে নবি আউট হলে চাপে পড়ে দল। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন রহমত।
১৯ বলে ১৩ রান করে গুলবাদিন নাইব আউট হলে পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন রশিদ খান। তবে ১৩ বলে ১৮ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। এতে ১৬৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটায় সরে যায় আফগানিস্তান।
৪৩তম ওভারে নুর আহমেদকে বোল্ড আউট করেন মুল্ডার। পরের ওভারে রহমত শাহ ক্যাচ হলে ৩৯ বল হাতে থাকতে ২০৮ রানে অলআউট আফগানিস্তান। ৯২ বলে ৯০ রান করেন রহমত। এতে ১০৭ রানের বড় জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন কাগিসো রাবাদা। এ ছাড়াও মুল্ডার দুটি, ইয়ানসেন ও মহারাজ নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। ১১ বলে ১১ রান করে শুরুতে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার টনি ডে জর্জি। তবে বাভুমাকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার রায়ান রিকেলটন।
নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে ৪৮ বলে ফিফটি তুলে নেন রিকেটলটন। তাকে সঙ্গ দিয়েন ৬৩ বলে ফিফটি তুলে নেন বাফুমাও। এরপর পিচে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি তিনি। ৭৬ বলে ৫৮ রান করে ফেরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
এরপর রিকেলটনকে সঙ্গ দেন ভ্যান ডার ডুসেন। মাথা ঠান্ডা রেখে ১০১ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন এই প্রোটিয়া ওপেনার। তবে পাঁচ বল পরেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। ব্যাট চালাতে থাকেন ডুসেনও। ৪৬ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান তিনি।
তার আউটের পর পিচে এসে সুবিধা করতে পারেননি ডেভিড মিলার। ১৮ বলে ১৪ রান করে আউট হন এই মারকুটে ব্যাটার। এরপর মার্কো ইয়ানসেন ডাক হলেও এক প্রান্ত আগলে ব্যাট চালাতে থাকেন এইডেন মারক্রাম।
৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত মুল্ডারের ৬ বলের ১২ রান এবং মারক্রামের ৩৬ বলের অপরাজিত ৫২ রানে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৫ রানের বিশাল পুঁজি পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর