
দিনাজপুরে কম লোক দাওয়াত দেওয়াকে কেন্দ্র করে জামাতার বাড়িতে শ্বশুরপক্ষের হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় কমপক্ষে ৯জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন- সুমন হোসেন ও তার বাবা সোলায়মান হোসেন, মা আকতারা বেগম, ছোট বোন উম্মে হাবিবা, মামা রাশেদুল ইসলাম ও আবু সাঈদ।
অন্যদিকে গ্রামবাসীর পাল্টা হামলায় সুমনের শ্বশুরপক্ষের অন্তত চার সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সুমনের শ্যালিকা ইয়াসমিন আক্তার ও তার বন্ধু হাবিবুর রহমান, আরিফুল ইসলাম ও আল রিমন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, আজ শনিবার সকালে সুমন হোসেনের ছেলের আকিকার অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। এ উপলক্ষে তিনি বাড়িতে আত্মীয়স্বজনকে দাওয়াত দেন। কিন্তু তার শ্বশুরপক্ষের কম লোকজনকে দাওয়াত দেওয়ায় সুমনের সঙ্গে তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
একপর্যায়ে ওই রাতেই স্ত্রীর গায়ে হাত তোলেন সুমন। জেসমিনের বোন ইয়াসমিন আক্তার বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান। পরে সুমনের শ্বশুর অছিম উদ্দিন প্রায় অর্ধশত মানুষ নিয়ে গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে সুমন, তার বাবা, মা, ছোট বোন ও দুই মামাকে মারধর করা হয়। এছাড়া বাড়ির আসবাবও ভাঙচুর করেন তারা। গ্রামের মসজিদের মাইকে তখন ডাকাত পড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
ডাকাত পড়ার খবরে গ্রামের লোকজন সুমনের বাড়িতে গিয়ে তার শ্বশুরপক্ষের লোকজনকে ধাওয়া দেন। পরে ছয়-সাতজন যুবককে আটক ও মারধর করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজনের সমঝোতায় আটক যুবকদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এ বিষয়ে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, “পুলিশ দুই পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছে। গ্রামবাসীর হাতে আটক যুবকেরা এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পরে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক।”
রার/সা.এ
সর্বশেষ খবর